
দুটো বিন্দু, আর জুড়ে দেওয়া একটা
অনির্দিষ্ট দূরত্ব রেখার ভাগ্য দিয়ে,
এক বিশাল ময়দানে
রেখে গেছে কেউ আমাকে।
প্রথম বিন্দু তে নামিয়ে দিয়ে-
আমার মুখ সে ঘুরিয়ে দিয়েছে অপর বিন্দুর দিকে,
আর নিজেকে সুকৌশলে
আড়াল করেছে আমার পিছনে গিয়ে।
বন্দুকের ঘোড়া টানার আওয়াজে বুঝি সে আছে।
"অন ইয়োর মার্ক "বললে বুঝি
প্রচন্ড গতিতে ছুটতে হবে রেখা বরাবর,
অন্য প্রতিযোগীদের পিছনে ফেলে, একটা প্রতিদ্বন্দিতার আবহ
তৈরী করে দিতে হবে জনমানসে ।
ছুটতে ছুটতে কানে আসে
বিজয় গৌরবকামীদের উৎসাহ চিৎকার,
কানে আসে ভেঙে পড়া আত্মার অসহ্য হাহাকার।
তবুও থামিনা আমি, সে দেয়নি এই নির্দেশ।
দুই বিন্দুর সংযোজী সেতুতে
আমার পায়ের পাতা বদলে গিয়ে ঘোড়ার খুর
মাটিতে পা ঠুকে আওয়াজ তোলে,
"ক্লিপেটি ক্লপ। ক্লিপেটি ক্লপ"।
পিছনে পড়ে থাকে, শৈশব, কৈশোর, নীল চিঠি।
আমার পাশাপাশি ছোটে প্রেম ও প্রতিহিংসা,
লোভ দেখায় সম্মান, ভয় দেখায় গ্লানি আর রক্তচোখ।
আলো দেখায় সোনালী দিন, আর -
অভিমান মুখর রাত চেনায় মিথুনরাশি।
অনন্ত এই সেতুরেখার নীচে বয়ে চলে
ধারাস্রোত, আলোড়ন তোলে অঝোর প্লাবন।
আমি সময় দিয়ে দূরত্ব মাপি,
চেষ্টায় থাকি সবার আগে
মাথা ঝুঁকিয়ে, বুক চিতিয়ে ছুঁয়ে দিতে
অপর বিন্দুতে টান করে রাখা
সেই অন্তিম রশি।
অপেক্ষায় থাকি, একবার মুখ ঘুরিয়ে
দেখে নিতে, কে সেই বিধাতা
যে আমার ফুসফুসের মধ্যে ভরে দিল,
এই দম, এই অনন্ত দৌড়ের অশ্বশক্তি।
লেখক : u_10000000000219@ipatrika.com
পাঠক সংখ্যা : 1544 জন
প্রকাশ তারিখ : Tuesday, October 20, 2015
রচনা বিভাগ : কবিতা
গড় প্রতিক্রিয়া :