শুধু একটিবারের জন্য আমায় রঘুনাথতলার মন্দিরে নিয়ে যাবে ঠাম্মি! নোনা ধরা দেওয়ালে সাদা চুন ফিরিয়ে নেওয়া হয় রামনবমীর আগে। মন্দিরের চাতাল থেকে ভেসে আসবে বাসি চাঁপাফুলের মন কেমন করা সুগন্ধস্মৃতি।
সমস্ত দেওয়াল ভেঙে গেছে, রঘুনাথ মন্দিরের সামনের বিলে কচুরিপানার ফাঁকে ফাঁকে অগুন্তি শিশুর লাশ ভেসে বেড়ায়। পোড়া ধ্বংসস্তূপের ওপর পোয়াতি কিশোরীটি পাগলের মতো খুঁজে বেড়ায় কে তাকে পাপবিদ্ধ করেছে এতকাল – দামাস্কাস থেকে ধেয়ে আসা কালো মেঘ, নাকি অযোধ্যা নরেশ, দশরথ পুত্র শ্রীরামচন্দ্র!!
এই তো জীবন
সারা দিন ভালোবাসা আগুনের মাখামাখি আমরা তো জীবনের গান গাই, ঘটি-বাটি, চাল-কলা, অবিরাম পথ চলা কিভ, লাসা, মম্বাসা, বনগাঁয় ।
পথভোলা, ভেজা ছোলা, গুঁড় ছিল পুঁটলিতে শেষ হয়ে গেছে যতো পারানি, চোখ কেন ঢুলু ঢুলু, মুখ কেন ফুলুফুলু এতো নয় গান ঘুম পাড়ানী।
আগুনের সাথে যোগ, স্বপ্নিল সম্ভোগ মালসায় জ্বলে সুখ- খাদ্য আমাদের কথা বলা, সাপ-লুডো জুয়া খেলা পিথাগোরাসের উপপাদ্য।
ঘুরে মরা রাত-ভোর, তুই আমি – আমি তোর সেই কবেকার চেনা বৃত্ত তাথৈ তাথৈ নাচা, বেঁচে মরা – মরে বাঁচা খাঁচা ভরা তাণ্ডব নৃত্য।