আমি বারবার মুখ ঢাকি অসহ্য বিষবাস্প সহ্য করতে পারি না আর.....
বৃদ্ধাশ্রম থেকে শুনতে পাই মায়ের কাতরানি ভাবি মা কেন সহ্য করে প্রসব যন্ত্রণা পাথরের চাই গুলোকে জন্ম দেওয়াই কলঙ্ক।
মৃত্যুর আগেই বহুবার পুড়ে ছাই হলাম তবু আশা ছাড়িনি......
একদিন বইবে শান্তিগঙ্গা এই পৃথিবীর বুক চিরে রক্ত বৃষ্টি বন্ধ হবে সেদিন ভেজা মেঘ পাঠাবে দুধের ফোয়ারা ভাই কাটবেনা ভাইয়ের গলা মেয়ে বিক্রি হবে না আর পতিতালয়ে।
ভোরের পাখি জাগার আগে শিমুলরঙা সূর্যটা মিটি মিটি হেসে বলবে চেয়ে দেখো.....
তোমারদের জন্য এনেছি এক নতুন ভোর!
লক্ষ্যতে পৌঁছাবে নিশ্চিত
বহুকাল ধরে ঘুণ ধরা কাঠের দরজার মত ভিতরে ভিতরে শেষ হচ্ছিল মেয়েটি
হঠাৎ যেন কি হল তার ভয়ঙ্কর একটা সুনামি এল ভাসিয়ে নিয়ে গেল তার সমস্ত অসহায়তা...
মেরুদন্ড সোজা করে দাঁড়াতে শিখে গেছে সে দুহাতে উত্তপ্ত সূর্যটাকে ধরে নিয়ে উষ্ণতা শুষে নিয়েছে অনেকখানি.....
ধুলো মলিন পাখা দুটি ভালো করে ঝেড়ে নিয়ে উচ্চ উড়ান ভরার জন্য
প্রস্তুত সে এখন।
দুর্বার তার গতি, ভয় পায়না আর সামনে খড় কুটো পাহাড় পর্বত যা-ই আসুক তোয়াক্কা করে না কাউকে....
সে চলছে এবং চলবে লক্ষ্যতে পৌঁছাবে নিশ্চিত।
মৃত্যুদণ্ড দিন
মেয়ে হয়ে জন্মানো যদি অপরাধ হয়ে থাকে মানুষকে ভালবাসা যদি অপরাধ হয়ে থাকে ঘরের বাইরে পা রাখা যদি অপরাধ হয়ে থাকে বড় হওয়ার স্বপ্ন দেখা যদি অপরাধ হয়ে থাকে তবে হ্যাঁ আমি অপরাধ করেছি.......
কবিতার জোয়ারে গা ভাসিয়ে দেওয়া যদি অপরাধ হয়ে থাকে না পাওয়ার বেদনায় মন উদাস হওয়া যদি অপরাধ হয়ে থাকে আকাশকে নদীকে ভালবেসে ইচ্ছেনদীর বয়ে যাওয়া যদি অপরাধ হয়ে থাকে গাঙচিল গঙ্গাফড়িং সবুজ শেওলাকে ভালবাসা যদি অপরাধ হয়ে থাকে
তবে হ্যাঁ আমি অপরাধ করেছি......... ছোট্ট কুড়েঘরকে তাজমহল বানানোর স্বপ্ন দেখা যদি অপরাধ হয়ে থাকে চাপলুশি না করতে পারাটা যদি অপরাধ হয়ে থাকে
মুখ বন্ধ করে অত্যাচার সহ্য করতে থাকা যদি অপরাধ হয়ে থাকে সংসারের মঙ্গলের জন্য দিনরাত এক করে দেওয়া যদি অপরাধ হয়ে থাকে তবে হ্যাঁ আমি অপরাধ করেছি......
মহামান্য আদালত আপনি আমাকে মৃত্যুদণ্ড দিন। আমার লাল রক্ত শুকিয়ে নীল হয়েছে, জ্যোৎস্নার আলো দাউদাউ করে জ্বলছে.....