অনুবাদ:জি.এম.তানিম


আমি আজ রাতে সবচে’ দুখের কবিতা লিখতে পারি।

লিখতেই পারি (যেন মনে করো): “হাজার তারার মেলা,

রাতের আকাশে, নীলচে তারারা মিটিমিটি জ্বলে দূরে।”

রাতজাগা হাওয়া হারায় আকাশে ঘুমমাখা গান গেয়ে ।

আমি আজ রাতে সবচে’ দুখের কবিতা লিখতে পারি।

ভালোবেসেছিল এই মন তাকে, মাঝে মাঝে সেও মোরে।

এমন অনেক আনমনা রাতে তাকে দুই হাতে ধরে

ভরিয়ে দিয়েছি চুম্বনে এই অসীম আকাশ নীচে।

সে আমাকে যত ভালোবেসেছিল, আমিও বেসেছি তাকে।

তার টানা ঘন দীঘি চোখ দেখে কে না ভালোবেসে থাকে?

সে আর আমার নেই, আমি তাকে হারিয়েছি – এটা ভেবে

আমি আজ রাতে সবচে’ দুখের কবিতা লিখতে পারি

বিশাল শুন্য এই রাত তাকে ছাড়া বয়ে চলে ধীরে।

আর কবিতারা ঘাসের শিশিরে এই রাতেঝরে পড়ে।

ভালোবাসা তাকে রাখতে পারেনি এতে আসে যায় কিছু?

রাতের আকাশ তারায় ভরেছে, নেই সে আমার কাছে।

এই তো সবটা। গান ভেসে আসে, গান গায় কেউ দূরে

আমার স্বত্ত্বা নিজেকে হারায় তাকে ছাড়া, তাকে ছাড়া।

তার কাছে যেতে আমার দৃষ্টি খুঁজেখুঁজে ফিরে তাকে

আমার হৃদয় খুঁজে ফিরে তাকে, যে নেই আমার সাথে।

সেই রাত, সেই রাতসাদা গাছ মনে পড়েযায় যেই,

সেই মোরা, যারা আমরা ছিলাম, আর যেআমরা নেই।

আমি তাকে আর ভালো তো বাসি না, কিন্তু বেসেছি এত

আমার কন্ঠ বাতাসের বুক চেপে তার কানে যেত।

অন্য কারুর হবে সে- যে ছিল আমার ঠোঁটের সখা,

কন্ঠের সুর, দুধরাঙা দেহ, অতল চোখের দেখা।

আমি তাকে ভালোবাসি না, সত্য, কিন্তু হয়তো বাসি।

ভালোবাসা খুব কম সময়ের, ভুলে যাওয়া খুব বেশি।

আমার স্বত্ত্বা হারিয়েছে তাকে, নিজেই হারিয়ে গেছে,

কারণ এমন অনেক রাতেই সে ছিল হৃদয়পাশে।

যদিও এটাই ছিল তার দেওয়া বেদনা আমাকে শেষে,

এটাই আমার শেষের কবিতা জেনো তার উদ্দেশে।