অভিমুখ

পীযূষকান্তি বিশ্বাস





আমারও একটা উত্তরের ইচ্ছা,

আর লা-জবাব দক্ষিণ

কথাটা ফেলতেই

এদিক ওদিক

খিদেটা বিখরে প্রচণ্ড চৌচির





স্কুলের ক্লাসে ঘণ্টা পড়লো কোথাও





পেন্ডুলাম থেকে পেড়ে আনা দোলন

মাকুমানুষের কাছে ফেরী করে যাই

এই শহরের ঘনত্ব আর বিস্তার

বেশ তো আছি ঝুলে,

কিছুটা নির্বাক অফিসবাড়ি,

দিকবিদিক দৌড়ে যাওয়া দেওয়াল ঘড়ি

ছুটিকে সীমানা করে

            এই আমাদের ছুট ছুট



এই মাত্র হ্যাচব্যাক অল্টোকে টপকে গেলো সিডান ভার্না





প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে বেরোল হরিণ ছানা

ওত পেতে থাকা ক্ষিপ্র ভুখা শের

ব্যাং ইট



শুধু গর্দনে

একটা ঝটকার অপেক্ষায় থাকে

অভিমুখ



#







ধাতব জন্ম নিয়ে,

লৌহ বা তাম্রের কোন মায়বাপ নেই

কোন উত্তরাধিকারী



ঘর থেকে ঘর

টেনে বের করে আনা     টান টান স্নেহে

শুধু আবেশের জন্ম দেওয়া আছে

শারীরিক খিদের মত,

চুম্বকের মত টানে



অভিমুখ মানে - লাইন বাই লাইন পড়ে থাকা



আজীবন কোন মায়বাপকে ঘিরে

চক্কর বাই চক্কর কেটে যাওয়া



দক্ষিণ থেকে উত্তরের

উত্তর থেকে উত্তরের





#







এই দিকে যাই

যেদিকে ঘাম জর্জর অনুভূতি নিয়ে

জাগিয়ে রাখে এই গ্রীষ্মের অমাবস্যার কালো



নাকি ওদিকে যাই

যেদিক বৈদ্যুতিক তরঙ্গ ডাকে



নাকি ওইদিক

কাঁটাতারে ঘিরে রাখা আছে কম্পাস

গলা পর্যন্ত উঠে আসা উত্তাপ ও অম্লজান

ঘাড় গুঁজে থাকা অণু-পরমাণুদের নিয়ে



নিঃশব্দে যেখানে

অভিমুখ তৈরি হয়



#



অভিমুখ

দিকবলয়ের আংটি থেকে ঝলসে ওঠা আগুনচিত্র

ওঁত পেতে থাকা কোন ক্ষনস্থায়ী গ্রহণ

কখন যে চাঁদের গায়ে

চাঁদ লেগে যায়