ধারাস্রোতে ফুলেশ্বরী নদী বহি যায়।

বসতি যাদবানন্দ করেন তথায়।।

ভট্টাচার্য্য বংশে জন্ম, অঞ্জনা ঘরণী।

বাঁশের পাল্লায় তালপাতার ছাউনি।।

ঘট বসাইয়া সদা পূজে মনসায়।

কোপ করি সেই হেতু লক্ষ্মী ছেড়ে যায়।।

দ্বিজবংশী পুত্র হৈল মনসার বরে।

ভাসান গাইয়া যিনি বিখ্যাত সংসারে।।

ঘরে নাই ধান-চাল, চালে নাই ছানি।

আকর ভেদিয়া পড়ে উচ্ছিলার পানি।।

ভাসান গাইয়া পিতা বেড়ান নগরে।

চাল-কড়ি যাহা পান আনি দেন ঘরে।।

বাড়ীতে দরিদ্র জালা কষ্টের কাহিনী।

তাঁর ঘরে জন্ম নিলা চন্দ্রা অভাগিনী।।

দূরিতে দারিদ্র্যদুঃখ দেবীর আদেশ।

ভাসান গাহিতে স্বপ্নে দিলা উপদেশ।।

সুলোচনা মাতা বন্দি দ্বিজবংশী পিতা।

যাঁর কাছে শুনিয়াছি পুরাণের কথা।।