অমৃতা প্র্রীতমের দুটি কবিতা

অনুবাদক : রেখা নাথ



চুপ কী সাজিশ 


রাত উঁঘ রহী হ্যায়

কিসী নে ইন্সান কী 

ছাতি মে সেঁধ লগাই হ্যায়

হর চোরি সে ভয়ানক

ইহ সপনোঁ কী চোরি হ্যায় ।


চোরোঁ কে নিশান – 

হর দেশ কে হর শহর কী 

হর সড়ক পর বৈঠে হ্যাঁয় ।

পর  কোই আঁখ দেখতি নহী,

ন চৌঁকতী হ্যায়।

সির্ফ এক কুত্তে কী তরহ

এক জঞ্জীর সে বঁধী

কিসী ওয়াক্ত কিসী কী 

কোই নজ্ম ভৌঁকতী হ্যায়।

-----


নিঃশব্দতার ষড়যন্ত্র


রাত্রি তন্দ্রাচ্ছন্নে

কেউ একজন মানুষের 

হৃদয়ে সিঁধ কেটেছে

যে কোনও চুরির থেকে ভয়ঙ্কর

এই স্বপ্নের চুরি।


চোরেদের চিহ্ন 

প্রতিটি দেশে, প্রতিটি শহরে 

প্রতিটি পথে বিদ্যমান

কিন্তু না কেউ দ্যাখে

না হয় বিস্মিত।


কেবল কুকুরের মতো

শেকলে বাঁধা

কোনও সময় কারুর

কোনও কবিতা গর্জাতে থাকে।

-----



মেরা পতা


আজ ম্যাঁয়নে অপনে ঘর কা নম্বর মিটায়া হ্যায়

অউর গলীকে মাথে পর লগা গলী কা নাম হটায়া হ্যায়

অউর সড়ক কী দিশা কা নাম পোঁছ দিয়া হ্যায়

পর অগর আপকো মুঝে জরুর পানা হ্যায়

তো হর দেশ, হর শহর কী, হর গলী কা দ্বার খটখটাও

ইহ এক শাপ হ্যায়, এক বর হ্যায় 

অউর  জহাঁ ভী আজাদ রুহ কী ঝলক পড়ে 

সমঝনা মেরা ঘর হ্যায় ।


আমার ঠিকানা

 

মিটিয়ে দিয়েছি আজ আমার বাড়ির ঠিকানা

আর সরিয়ে দিয়েছি গলির মোড়ে লেখা গলির নাম

আর মুছে দিয়েছি পথের দিশা

কিন্তু যদি আমাকে পেতে চাও

তো প্রতিটি দেশ, প্রতিটি শহর, প্রতিটি গলির দ্বারে কড়া নাড়ো

এ এক অভিশাপ, এ এক আশীর্বাদ

আর যেখানে দেখবে স্বাধীন আত্মার এক ঝলক

জেন, সেটাই আমার ঠিকানা ।