হঠাৎ হাওয়া উঠেছে এই দুপুরে

আকাশী নীল শান্তি বুঝি ছিনিয়ে নিতে চায়।

মালোঠিগাঁও বিমূঢ়, হতবাক্‌।

মেঘের ক্রোধ গর্জে ওঠে ঝড়ের ডঙ্কায়।

এখনই এল ডাক।

মন্দাকিনী মিলায় তাল তরঙ্গের নূপুরে।


এ যেন হরধনুর টান ছিলাতে

হেনেছে কেউ প্রবল টংকার।

চিনের চোখ মীলিত। কার ভীষণ জটাজাল

আকাশে পড়ে ছড়িয়ে, শোনো বাতাসে বাজে তার

সঘন করতাল।

ত্রিলোক কোটিকণ্ঠে চায় গানের গলা মিলাতে।


এ যেন কোন্‌ শিল্পী তার খেয়ালে

উপুড় করে দিয়েছে কালো রঙ

আকাশময়। পাখিরা ত্রাসে কুলায়ে ফিরে যায়।

কে যেন তার ক্রোধের কশা দারুণ নির্মম

হানে হাওয়ার গায়ে।

অট্টহাসি ধ্বনিত তার গিরিগুহার দেয়ালে।


এবং, দ্যাখো, নিমেষে যেন কী করে

মিলিয়ে যায় খামার-ঘরবাড়ি,

মিলিয়ে যায় নিকট-দূর পর্বতের চূড়া।

খেতের কাজ গুছিয়ে মাঠ-চটিতে দেয় পাড়ি

ত্রস্ত গাঁওবুড়া।

বিদ্যুতের নাগিনী ধায় মেঘের কালো শিখরে।


হঠাৎ হাওয়া উঠেছে এই দুপুরে,

আকাশী নীল শান্তি যেন ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

মালোঠিগাঁও বিমূঢ়, হতবাক্‌।

মেঘের ক্রোধ গর্জে ওঠে ঝড়ের ডঙ্কায়।

এসেছে তার ডাক।

মন্দাকিনী মিলায় তাল তরঙ্গের নূপুরে।