অতনু বন্দ্যোপাধ্যায়
লেখক / সংকলক : অতনু বন্দ্যোপাধ্যায়

দৃশ্যান্তরের প্রিয়কথা
অতনু বন্দ্যোপাধ্যায়
এক।।
সেদিন বৃষ্টি ছিল। আর ঘন জঙ্গলের পথে ক্রমশ সন্তর্পণ। ট্রিগারে যে হাতের প্রলেপ তাকে সমীহ না করে উপায় নেই।
কাকভেজা হয়ে তোমার পোয়াতি পেটের কথা জানলাম।
ঠিক তখন ঘিসের বাড়ন্ত জলোচ্ছাস আমাকে হারাবার কুর্নিশ জানাচ্ছে।
এরপর আর কিছু সম্ভব ছিল না।
শুধু ডুবতে ডুবতে বুঝেছিলাম
কিছুই না।
সবটাই বয়ে যাওয়া পুরুষের কথোপকথন।
দুই।।
নামের আসেপাশে কিযেন কিভাবে
এইসব ঘটে যেতে যেতে জুতোর মাথায় লাগা মাটি আর দাগের শহরে তখন ইতিহাস বসে আছে অন্ধ মানুষটার সাথে।
প্রিয় হরিণের চোখ থেকে
স্মৃতি ফেলে চলে যাওয় পেন্সিল
তুলির পালকে প্যালেটের দীর্ঘশ্বাস
খালি খালি ছায়ার কথায়
ডানার পকেট থেকে ছুঁড়ে দেয় নিশ্চিন্ত উড়ান
ইশারার মাঝামাঝি ইঙ্গিতের বিকল্প কনভয় দেখ চলে যাচ্ছে সম্ভাব্য পাঠকের কাছে। প্রিয় ঋণ এইসব নিয়ে আমিও দর্শক হবো। আমিও বেপরোয়া পায়ে ক্রমশ লিখে রাখবো মৃতদের যোগফল গুলি।
তিন।।
অন্তরে এখন রোদ আর নেশার প্রস্তুতি। সকাল থেকে যাচ্ছি যাব করে আর যাওয়াই হল না টেবিলের কাছে। তাই কথাও হল না । আর বলাও হল না আজ রাতে ফিরতে দেরী হবে।
এখন বসে আছি লালবাজার পাড়ায়। লালবাজার শুনে আবার ভেবে বোসো না আর কোলকাতার সেই শ্রীঘরে আবার পৌঁছে গেছি। এ এক অপার শীতের বন্ধুতা। মিঠু আর আমি আর আমাদের সেইসব একলার দিন।
এখানে সকালে খেজুর দুপুরে ক্যানেলের এক আদি অনন্ত লোহার পাইপ দিয়ে বেরিয়ে আসা গরম জলের ফোয়ারায় স্নানের দীর্ঘ তুমুল।
মাসি র রান্না করা দেশি মুরগীর মাংস আর সন্ধ্যার প্রস্তুতি নিতে নিতেই বাকিরা হাজির।
রাস্তায় বেরোলেই দেখা যায় বাংলাদেশ। দেখা যায় দিগন্তের বুকে শেষ তুলির আঁচড় দিয়ে হঠাৎ কিভাবে সূর্য হারিয়ে গেলে আমাদের সকলের চোখ জ্বলে উঠলো বসে পড়ার জন্য।
প্রস্তুতি নিতে নিতেই আবার একটু মনমালিন্যও। মিটে যাবে যাবে বলে যখন এক কোনায় দাঁড়িয়ে আছি
উত্তর এসে গেছে।
ফিরতে হবে না। সাবধানে থেকো। কাঁটাতারের ওইপারে যেও না রাত্তিরে। তোমার তো কোনো বিশ্বাস নেই। বাংলাদেশ পুলিশ ধরে নিয়ে গেলে
হা হা হা.....সবাই বলে উঠলো আজ মিশন বাংলাদেশ। আজ সূর্যের নেশাও চুরি করে আনবো আমাদের প্রিয় মানুষের জন্য। আরেকটা পড়ে যাওয়ার জন্য।