সামগান



১/ রবসো নেহা লাগাও রে মনবা....



মরসুমগুলো ঝরে পড়ছিল।

ঠিক যেমন করে ঝরে যায় ঘুমগান।

ভেজা বর্ষাতি টিউনিকের সোঁদা গন্ধ মুছে-

উঠে এল কাঁধ বরাবর।

বৃষ্টি ভাগ হল। সাথে কিছু নিষিদ্ধ সমস্রোত।

বসন্তকে মালা পরাবে বলে--

দু'টো লিপগ্লস- দু'টো বিন্দিয়া- দু'জোড়া ভ্রুভঙ্গ-

চুমুর পাত্র উপচে দিল প্রজাপতি রঙে।

একজন বাহার সোহাগ এখন অনায়াসে বলতে পারে-

বেহাগ আমার স্পর্শজাত মেয়ে।



২/ চল তব সন্ত পবন মতবারি....



ঋতু- সপ্তাহ পেরিয়ে এসে ফুল চাইলো--

নতুন জন্মে ওর নাম হোক আগুন।

মোম-মোম গলে যাওয়া বাড়ন্ত খাঁজ-

নাহয় এবার বজ্র সাজুক।

কোনও বারণ না মানার বিধান খুঁটে খাক-

একই অন্তর্বাস- নাভি- জিভ- থুতু- লালা- উদগার।

বেহতা স্রোত, তুমি তো জানো;

তোমারই বিপরীতে ওদের নাক- চোখ- মুখ-

একই সাঁচে গড়া।

একই ধাঁচে ওদের ঠোঁট বুকে নেমে আসে।

আর শতাব্দী শোনে দু'জন মানবীর গল্প।

অথচ, পুণ্যিপুকুর সাঁতরে তখন সবেমাত্র-

জন্ম নিচ্ছে যুগল ঈশ্বরী।



৩/ মোসে ছল কীয়ে যায়....



তেমন কোনও মৌরস ভিজিয়ে দেয়নি কৃষ্ণখাত।

ওখানেও জানি সন্ধি থাকে।

থাকে পর্দা ঢাকা অনুরাগ।

হাজার বিনিময় একের সাথে এক জুড়ে-

একটা উত্তরজন্ম চেয়েছিল।

পাশা বদলের চাল শিখিয়েছে-

কোনও কোনও সূত্রে নিজেরই কেবল পুনর্জন্ম হয়।

আগামী লেখে-

একে একে শূন্য... শূন্যে শূন্যে ক্ষয়....

অতঃপর রূপান্তরের কথা.....