মৃত্যু,তোমার ঘরে




মৃত্যু,তোমার ঘরে এখন সবাই তো সুখেই আছে

সেই মাটির ঘর,খড়ের ছাউনি,দরমার বেড়া

সব আলো প্রকাশ্যে ঢোকে

সম্পূর্ণ খোলামেলা যেখানে অবলীলায় মৃত্যুশিশুরাও নির্ভয়ে খেলে বেড়ায়

 বনলতা সেন,নীরা আরও অনেকেই নিরাপদে আছে তোমার আশ্রয়ে

আচ্ছা,মমতাজের শেষ খবর তোমার জানা আছে কী?

সে বহুদিন আগে একটা ইচ্ছাপত্র লিখে দেবে তোমাকে বলেছিল

কতদিন পার হয়ে গেল- কোনো খবর নেই

ইচ্ছে ভীষণ অট্টালিকা ছেড়ে তোমার ঘরে আশ্রয় নেবো

একটু জায়গা দিলে সব পাখির ডাক ভোরে শোনাবো

সবুজ বন ঘিরে থাকবে তোমার সব ইচ্ছে প্রত্যাশা

এখন যেখানে আছি শুধুই ছায়াজট আর শকুনের তির্যক কান্না

মৃত্যু, চে গুয়েভারার সাথে তোমার নির্জন কথোপকথন কোনো রাত্রি জানতে পারেনি

সেই ইতিহাস থেকে এখনো রোজ ফোটে সহস্র ফুল

যেমন সকালে প্রতিদিন দেখি নির্জন শব্দ প্রতিদিন ঘোষণা করে আগমনী সুর

অনেকদিন অপেক্ষায় থেকে থেকে ভীষণ ক্লান্ত মেঘখণ্ডের সাথে ভাসছি অবহেলায়

মৃত্যু,আর কত সময় লাগবে এই কালো দিগন্ত থেকে তোমার কাছে পৌঁছাতে? 

অজস্র কাঁটার লাল চোখ পাশ দিয়ে হেঁটে বেড়ায়

তুমি নিজেই জানো

আর এক মুহূর্তও সইছে না এই ছিন্নভিন্ন বুকের ভেতর তীব্র ব্জ্রশেল

মৃত্যু,জানো তো শেলীর হৃৎপিণ্ড থেকে বেরিয়ে এসেছিল অজস্র জয়ধ্বনি 

আজই সেই দিন

খুলে দাও তোমার সব দরজা

মৃত্যু,তুমি দীর্ঘজীবী হও


সব শ্মশানে সব শবে ফুটুক হাজার ফুলের পাপড়ি--।