উহ্য 

জয়শীলা গুহ বাগচী





রাতের টুকরো থেকে ভেসে আসছে উচ্চারিত মোটা দাগের ঘুম। দু’হাতের হতবুদ্ধি সময় ক্রমশ বেড়ে উঠছে। দেখছি... রাতের গায়ে ঝলমল করছে ফেলে আসা জামা-কাপড়ের বাতাস, রাস্তার আনকাট নিখিল। এইসব রাতবিরেতের ভাবনা থেকে উঠে বসে চুল আঁচড়াই । আঁচড়াতে গিয়ে খসে পড়ে দৃশ্যপট , গন্তব্যের অক্ষর। চুলের গোড়ায় গোড়ায় জমে আছে কাল্পনিক আমি। ধীরে ধীরে সেসব আঁচড়ে আঁচড়ে ফেলতে থাকি নীচে। মাথা হালকা হলে ধনে স্বাদ গুছিয়ে রাখি। গুছিয়ে রাখি শীতকালের জমাট রক্ত আর এক আঁটি বেঁচে থাকা দুপুর। তারপর যা থাকে তা হল অনিন্দ্য শূন্যচিন্তা যা খবরের কাগজের মতোই দেখানো মিথ্যে। মিথ্যের ওম দিয়ে ফ্রিজের ভেতর পরের দিনটি সেদ্ধ করি। 


যাপন


হাত পায়ের নখে অথবা দাঁতের ফাঁকে আটকে থাকে ফুরিয়ে যাওয়া দিন। খুঁচিয়ে তুলতে  গেলে রক্ত পড়ে। রেখে দিলে শিরদাঁড়ার ভেতর ছড়িয়ে যায় ব্যথার চড়াই উৎরাই । দু’হাতে তখন পাহাড়পর্যায়ের টুকরো দৃশ্যের ভার, অজস্র স্থান, কাল, পাত্র। যে কোন উচ্চতায় বাজারের ভিড় ঠেলে এগিয়ে যাই অথবা নেমে আসি শুরুর বিন্দুতে। রোজ স্নায়ুতে আতশবাজির রোশনাই... । রোজ কপালের মাঝে কোমাচ্ছন্ন রাত। হাওয়া খুলে দেখি পাহাড়ের গায়ে পাইন বনের ভেতর শরীর খুঁজে চলেছি। হাওয়া বাড়ছে, বাড়ছে আধো অন্ধকার। মেঘের ভেতর পিঁপড়েরা হেঁটে চলেছে আর একটি মেঘের দিকে। দাঁতের ফাঁকে দিন ফুরোচ্ছে , গলা থেকে গান নেমে যাচ্ছে পাকদণ্ডী বরাবর।