পথে দেখে ঘৃণাভরে          কত কেহ গেল সরে

উপহাস করি’ কেহ যায় পায়ে ঠেলে ;

কেহ বা নিকটে আসি,          বরষি সান্ত্বনারাশি

ব্যথিতেরে ব্যথা দিয়ে যায় শেষে ফেলে ।

পতিত মানব তরে       নাহি কি গো এ সংসারে

একটি ব্যথিত প্রাণ, দুটি অশ্রুধার ?

পথে পড়ে, অসহায়              পদতলে দলে যায়

দু’খানি স্নেহের কর নাহি বাড়াবার ?

সত্য, দোষে আপনার          চরণ স্খলিত তার ;

তাই তোমাদের পদ উঠিবে ও শিরে ?

তাই তার আর্তরবে          সকলে বধির হবে ।

যে যাহার চলে যাবে—চাহিবে না ফিরে ?

বর্তিকা লইয়া হাতে          চলেছিল এক সাথে

পথে নিভে গেল আলো পড়িয়াছে তাই ;

তোমরা কি দয়া করে          তুলিবে না হাত ধরে

অর্ধদণ্ড তার লাগি থামিবে না ভাই ?

তোমাদের বাতি দিয়া          প্রদীপ জ্বালিয়া নিয়া

তোমাদের হাত ধরি হোক অগ্রসর ;

পঙ্কমাঝে অন্ধকারে          ফেলে যদি দাও তারে,

আঁধার রজনী তার রবে নিরন্তর ।