কবিতার বিষয় আশয়



১.

সে আমাকে কেন্দ্রের কথাই বলে

পেরিফেরিরও কথা

আমার সাদা শার্টে বিষয়ের দাগ

সে আমাকে দেখায় ওই ওখানে

ডেভিডের রান্নাঘর, আর ঐদিকে

বাথশীবা’র স্নানভুবন

টিকিট কেটে দস্তুর মত ট্যুরিস্ট হয়ে

আজ সেও এসব জেনেছে

জেনেছে তার পিতেমোর কাটা কুঁয়ো

আদতে ইসাকের খোঁড়া…

উজি-র নলের মুখে রাতারাত

ইতিহাস প্রাক হয়ে গেছে



আমিও বুঝতে পারি, এই ভাল

এ’ভাবে ট্যুরিস্ট হয়ে নিজের অতীতে

ভার ও বিষয়হীন এই ঘোরাফেরা

আনমনে গ্যালিলির বেঢপ আকাশে

নিখাদ উড়িয়ে দেওয়া চিপসের প্যাকেট



২.

যতটুকু উপকার গায়ে এসে বসে

সেটুকুই ধুলো হয়ে আছি

রূপ এসে মৌখিক হল আর আমিও

নিমেষে হারিয়েছি বিষয় ও কষ



তারপর সারাদিন সে’ও বেঁচে থাকে

দীনার-ফেরতা তার দেখাশোনা

উনুনের পাশে, দুধের পাতিলে ছিল

বিকেলের দুধ, এখন সে ঘুরে ফিরে

সুখ হয়ে গেছে…



৩.

দেখ বাছা, আমি এই দেশকে চিনি না

বড়জোর ওই আমগাছ আর চিনি বজ্রবিদ্যুৎ

আড়ত থেকে ফিরতে ফিরতে

মাত্র দু’এক মাইল এই বেঁচে থাকা



অনর্গল কথার ভেতরে খদ্যোত ওড়ে

আমি তার আলোয় দেখেছি

এদিকে সমস্ত পথ বিশ্রামের দিকে

যেতে গিয়ে বেঁকে বসে আছে



ঐ যে ছুরিসুদ্ধ মুঠি কুয়াশায় আমূল হারায়

সেটুকুই আমার বিষয়, রাস্তা বলে তো কিছু নেই