বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই আমি পৃথিবীর রূপ


খুঁজিতে যাই না আর : অন্ধকারে জেগে উঠে ডুমুরের গাছে


চেয়ে দেখি ছাতার মতো ব্ড় পাতাটির নিচে বসে আছে


ভোরের দয়েলপাখি – চারিদিকে চেয়ে দেখি পল্লবের স্তূপ


জাম-বট-কাঁঠালের-হিজলের-অশথের করে আছে চুপ;


ফণীমনসার ঝোপে শটিবনে তাহাদের ছায়া পড়িয়াছে;


মধুকর ডিঙা থেকে না জানি সে কবে চাঁদ চম্পার কাছে


এমনই হিজল-বট-তমালের নীল ছায়া বাংলার অপরূপ রূপ


দেখেছিল; বেহুলাও একদিন গাঙুড়ের জলে ভেলা নিয়ে –


কৃষ্ণা-দ্বাদশীর জোৎস্না যখন মরিয়া গেছে নদীর চড়ায় –


সোনালি ধানের পাশে অসংখ্য অশ্বত্থ বট দেখেছিল, হায়,


শ্যামার নরম গান শুনেছিল – একদিন অমরায় গিয়ে


ছিন্ন খঞ্জনার মতো যখন সে নেচেছিল ইন্দ্রের সভায়


বাংলার নদ-নদী-ভাঁটফুল ঘুঙুরের মতো তার কেঁদেছিল পায়।