পুরোনো কবির কোড নাম্বার 





দেবযানী বসু






জন্মদিন, হ্যাঙারে ঝোলা কালোজামা

কালোজামের নৈকট্যে

বারোমেসে কোকিল বুকের

গরমদিনের চিহ্নে দাগাতে পারি না

দাগা পাওয়া পালকের বিজ্ঞাপন

সার্ফ এক্সেল দিয়ে ধুই

জাহাজের জলঢাকা আলোয় মুখ দুলে যায়

দেশে ফেরার পিছন পাতায় বয়ে আনি

মৃত গঙ্গার জন্য

মিসিসিপি মুসৌরির চোখের জল

ডলফিনের গগলসে দৃষ্টিদান করায়

কেউ আর আপনজন হয় নি







অচেনার সুখ



দুলছি আয়নার নিঃশ্বাসে

স্রোত কেটে ঝাঁকে ঝাঁকে টাকা ব্যয়ে যায়

বয়ে যায়

জামাপোড়া সংলাপ পাতাপাতুরি  মুড়ে রাখি

শতাব্দী পেরোনো চোখ বুজে এলে

আঙুলে ঘুলে দেয় নতুন জামা

দুঃখলাগা মুক্তি সাদাকালো ওড়নার ভেতর

ক্যামেরার গলা টিপে ধরেছে

রাধাভাসানো জল রাধাচূড়াদের খবর

পাছে ফাঁস হয়





চিনলে দুঃখ পাবে



পৃথিবী
গিলছে সবাই। খাবারের আর্ষ প্রয়োগে দোষী ব্যালকনি। মাধবীলতার আগাছা জন্ম
আর কর্ম। শেষ হয়ে এলো মাধবীলতার মৈথুন কাল। বাঁচতে চেয়ে ক্যামেরার চোখে
হলুদ কাজলরেখা। জাহাজের গলাজলে দাঁড়িয়ে থাকা কোনো সমস্যা নয়। নষ্টচোখেরা
তার দেখভাল করে। বকওড়া পথে পড়ে আছে অন্তর্বাস। ক্যামেরার পিনহোল দিয়ে
প্রসবিত হই বার বার।



কবিতাযাত্রা



কবিতাযাত্রায়
অভিসার মনে হয় তিন পর্দা পোশাকের নিচে কিছু নেই। এই ভালোবাসার কোনো পর্নো
হয় না। প্রশ্ন হয় না। মশারির খুঁট কবে কুতুবমিনার হয়েছিল। এখন সব
নাটুকে দন্তমঞ্জন থেকে হেঁচকি অব্দি। নাটকের মুহূর্ত সব মুচমুচে। মেটে
বাদামের ছাউনীভাঙা রোদ। ঘড়িয়ালী সম্পর্কে মরচে সেতুর গায়ে লালপেড়ে
শ্লোগান। চাঁদনৌকা চব্বিশ ঘণ্টা  চলাচল করে কবিতাযাত্রায়। শূন্যভুক বৈ তো
অন্য কিছু নই।





আগামী জীবন



ঠুং
ঠুং ডাকটিকিট বাঁধা গলায়। পেরোচ্ছি তেপান্তরের লাইন অফ কন্ট্রোল। ফাটা
মাটি কচ্ছপের খোলস পরতে চায়। স্ক্র্যাপবুকের ছবিরা আমাকে ঘরে ফেলে বেরিয়ে
গেছে। লালপেড়ে নদীর ছুটে চলা শ্লোক ও শ্লোগানের শ্লো মোশন ভাবসাব বয়সের
ব্যথা বেলে হাঁসের পাথর বুকে মিনারের পায়রা যৎসামান্য সংসার চিনেছে।একের
সঙ্গে তিন ফিল্মবন্ধুতায় জুড়ে রয়েছে। মধ্যে রয়েছে একশো বছরের পিছিয়ে
থাকা চৌরেখাবতী গুঁড়ি গাছের।রোদফোকাসের মাধবীলতা। কেটে কুটে বসিয়েছে
শরীরে প্যাঁচানো সিঁড়ি।