স্বপ্নের ভেতরে

মোহাম্মদ হোসাইন



আসানসোল থেকে কলকাতা যতটা সময়

সুজাতপুর থেকে বিশ্বম্ভরপুর তার একচতুর্থাংশ

তবুও আমি চিলমারি, টেকেরঘাট কিংবা বনগাঁ প্রায়ই

মনে মনে ঘুরে আসি। জীবনের গল্প ফুরোয় না কখনো

একদৃশ্য থেকে অন্যদৃশ্যে স্থানান্তর হয় মাত্র...


রবীন্দ্রনাথ যে বছর রাশিয়া গেলেন আইনস্টাইন গেলেন স্ক্যটল্যান্ড

অথচ, হোমারের যুগ শেষ হয় নি তখনো।

আমি ভেবে পাইনা—কবিতা ও বিজ্ঞান মানুষকে এতোটা মোহগ্রস্থ

করে কীভাবে ?


নারীর যোনির নীচ দিয়ে যে সারস্বত প্রবাহ চিরবহমান তার শুরু কিংবা

শেষ কোথায় কেউ কি জেনেছে কোনোদিন ? আটলান্টিক পাড়ি দিতে দিতে নাবিকদের মনে এই প্রশ্নও উঁকি দিয়েছিল একদিন। কিংবা বায়তুল্লাহ থেকে নবী যেদিন হিজরতের উদ্দেশ্যে বের হলেন

সেদিন কারা কারা তাঁর সাথে দেখা করতে এসেছিলেন—সে বৃত্তান্তও আমাদের জানা উচিত ছিল।

মানুষ তার স্বপ্নের মধ্যে বাঁচে, না বাঁচার মধ্যে স্বপ্ন রচনা করে—তারও একটা বিশ্লেষণ কি থাকা জরুরী নয় ?


স্বপ্নের ভেতর ঠিক ঐ কথাগুলোই কে অমন করে বলে গেল গতকাল...?



বৃষ্টি লিখে রাখি



বরাবরই নদী পাগল আমি

নদী দেখলে আমি নই নদীই ঝাঁপটে ধরে বুক

চুমুর বিভায় ভরে দেয় মন

তখন চোখ খুলে রাখি, নদীর চোখে দেখি

আর বৃষ্টি লিখে রাখি, মেঘ লিখে লিখে সন্ধ্যা নামাই

তারপর আকাশের তারাগুলো যেভাবে ঝাঁপায় সেভাবে

আমিও ঝাঁপাতে থাকি আর জোড়াচোখে নদী জল হাওয়ার ভিতর

ধরে রাখি আকাশের বিস্তার...