রাহেবুলের কবিতা নিয়ে বিশেষত সদ্য প্রকাশিত দ্বিতীয় কাব্যি 'ব্লিডিং বরষে হৃদি' নিয়ে তরুণ কবি নীলাদ্রি দেব এই শীতের মরশুমে যে-মতন কাতর হলেন... 

শীত কিংবা শীতের সংলাপ: রাহেবুলের সৃষ্টি শুধু
খেজুররস নয়
—নীলাদ্রি দেব 

এটা কোনো পাঠপ্রতিক্রিয়া নয়. ভালো/মন্দ লাগা
জানানো নয়. একটা শীত কতটা শীত দিল/ দিচ্ছে
, ততটা বলার
চেষ্টা. অতএব কোনো গদ নেই. আর আঠা না থাকলে কী করে পাশাপাশি লেগে থাকবে শব্দগুলো
,
এই অআকখ থেকে দূরে রাহেবুলের লেখার জলাশয়ে ঢিল ছুঁড়ে দিই. ঢিলের
শব্দ আর জলাশয়ের গভীরতা সম্পর্কযুক্ত. এবারে মনে হবে
, সাগর
না বলে নদী না বলে এ তল্লাটকে সামান্য জলাশয় কেন বললাম. আসলে সামান্য হওয়াটা সহজ
নয়. যতি নয়
, ভাষা নয়, সূত্র নয়,
সমস্যা সমাধানের ঐকিক নয়... রাহেবুলের লেখা বিন্দুর গড়িয়ে যাবার
মতো. বিন্দুই রেখা হয়ে ওঠে. সরল
? কোনো মনোটনি নেই. অথচ 'ওনার গুরুত্বপূর্ণ পংক্তিগুলো নিম্নরূপ-' বলার অবকাশ
নেই. কবিতার ভেতরে অসংখ্য কবিতা
, অসংখ্য কবিতা ঘিরে একটিই
কবিতা
, কবিতা তো সমস্ত জীবন... এসবের সমান্তরালে যে আলপথ,
তার কোলে বসে রাহেবুল. ওকে পাঠ করা শ্রমসাপেক্ষ. গতকাল ও আজ = আজ,
এটা ওকে পাঠের মূল শর্ত মনে হয়. মদীয় ফ্যান্টাসির রাহেবুল, ব্লিডিং বরষে হৃদির রাহেবুল কবিতাগদ্যছবি/ 'সঙ্গে
কতেক ছাইপাঁশ
' বলতে কী বোঝেন, আপাতত
তাঁর জিম্মায়. জার্নি জারি. এটা শেষ শব্দ.



প্রচ্ছদ সুন্দর. প্রোডাকশনও. সাজানোগোছানো.
তবে
,
কেত ও কায়দাবাজি আছে. শাস্ত্রীয় নাকি লোকজ, এসবে
যাবেন না. এতো সব অপশন আছে বলেই তো গণতন্ত্র.



 



ব্লিডিং বরষে হৃদি

রাহেবুল



শাঙ্খিক



আশি টাকা