তোমার  তর্জনী



সুব্রত ঘোষ




আপনি আর কোপনি করে জীবনটা কাটছিল বেশ ।

রোজনামচার চোরাবালিতে আকন্ঠ মজিয়ে নিজেকে

জড়িয়ে নিয়েছি গায়ে ভালোত্বের বালাপোষ।

বাকি পথে রেখেছি কূর্মগতি প্রতিস্পর্ধী ব্রত

মুখের উপর চড়িয়ে নিয়ে ভালোমানুষির মুখোশ ।

এইভাবেই পৌঁছে যাওয়া যেত শেষে খুঁটিতে-

হবে যেথায় ঘী -কাঠ-আগুনের ভব্য সমাবেশ  ;

উসখুস নিরবতার মাঝে হবে শেষ অঙ্ক শেষ  ।

তবু এ যাত্রা পথে চিরকালের জীবন জিজ্ঞাসায়

আত্মার আত্মীয়তা ওঠে কেঁপে । কেঁপে ওঠে এই প্রশ্নে

যেন সবটুকু পাওয়া হয় নি এখনও জীবনের কাছে ,

যতটুকু পাওয়ার আমার ছিল দরকার

তার থেকে কিছু বাকি থেকে গেছে ।

সময় আমার হয়েছে এবার  ভাবার

প্রয়োজন ছিল যা কিছু সবই চেয়ে নেবার ।

উদগ্র ইচ্ছে নিয়ে তাই এখন ঝাঁপাই-- ছুটে যাই

অন্ধকারে কাঙ্খিত সেই আনমোল বস্তুর সন্ধানে । পাই না পাই

নাছোড় আমি হাতড়ে এখন বেড়াই তোমার তর্জনীর সাহারা যদি পাই

কখনো কোনও ক্রমে । বাধ্য সন্তানের মতো তাই ধরে

বাকী পথটুকু পার করে যাবো নির্ভয়ে নির্বিঘ্নে ।

আশা রাখি মনে তোমাকে পাবো আমি অজ্ঞান অন্ধকারে 

হঠাৎ চেতনার চিক্কুর যদি হানে

নির্ভুল চিনে নেব আমি কত শত সহস্র আঙুলের মাঝে

তোমার ওই সাগ্রহীএকক তর্জনী ।

তারপর নিশ্চিন্তে এগিয়ে যাব

শেষ অঙ্কের দিকে, পরম তৃপ্তিতে।