এই গতির মধ্যে মনে হয় কি যেন একটা স্থির হয়ে থাকে।

আমাদের চারিদিকে যখন কোনো গতিকেই আমরা থামাতে পারছি না।

সবকিছুই, না কলম না চিন্তা, এমন কি দীর্ঘজীবী বিপ্লবও

মুখ থুবড়ে দ্রুত পেছনে হটে গিয়ে ক্রেনের আংটাকে জায়গা ছেড়ে দিচ্ছে–

মহামতি অনড় লেনিনের মূর্তের গলায় উপড়ে ফেলার শিকল পরাতে।

তখন কেন মনে হবে এমন একটা কিছু আছে যা টলছে না?

দ্যাখো তোমার মেয়েটিকে দ্যাখো, দুদিন আগেও যে

কাঁটা বেছে না দিলে সরষে দেয়া পদ্মার ইলিশ পর্যন্ত মুখে তুলতে পারতো না

এখন সে প্রেমের সাথে সাক্ষাতের জন্য উত্তর গোলার্ধের উত্তর প্রান্তে

একাকী উড়াল দিতে টিকেট হাতে নাচছে।

কত দ্রুত আমাদের হাত গলে বেরিয়ে যাওয়াশিশুরা

বিশ্বের ভারসাম্যের দিকে ঘাড় নুইয়ে দৌড়ে গেল। আর আমরা ভাবলাম

গতিই জীবন।

গতিই যদি জীবন তবে তোমার আমার মধ্যে সুস্থিরতা কি আর অবশিষ্ট থাকে?

এখন তুমি একটা চাদরে নকশা তুলছ। আর আমি দেখছি

তোমার সর্বাঙ্গে লাবণ্যের ঘামে স্থিরছায়ার স্থবিরতা।

তোমার আত্মার ভেতর থেকে বেরিয়ে এসেছে তোমার অমৃতের আধার দুটি।

যা সন্তানের লেহনে, পানে আর তৃপ্তিতে অফুরন্ত।

ও আমার অবাধ্য দৃষ্টি, তুমি স্থিরতার বেদীর ওপর

এই বিশ্বময়ীকে দ্যাখো। লোকে যাকে সুখে ও যন্ত্রণায়

প্রেম নাম কহে।