আজ যখন এ শরীর উদাসীন পর্ণমোচী....


গৌতম দাশ



আসলে যতদূর হাঁটতে চেয়েছি পথ ভুল হয়ে গিয়েছে বারবার, দিক নির্নয়ের কাটাবিহীন কম্পাস ঠিকানা খুঁজে দেয়নি কোনোদিন, বারান্দার শেষের দেয়ালঘড়ির নীচে আটপৌরে দরজা তাই আজও বন্ধ, হাবিজাবি এলোমেলো এ জীবন অনেকখানিই বলেছি তোমায়, বলেছি তোমায় আমার সেই মেঘবাড়ি আর বৃষ্টিস্নান....

শুধু বলতে পারিনি

তোমাকে নিয়েই বারবার লেখা হয় এ হেরে যাওয়া যোদ্ধার গান ....

অগণ্য অক্ষরমালায় এক সুতীব্র প্রেম এখনও আগুন ছুঁয়ে রয়েছে আশ্লেষা...

তোমারই অপেক্ষায়...

মন

শেষ অবধি আজ বাড়ি থেকে বেড়িয়েই পড়লাম, ফুলের দোকান খুললেই লালবাতী সবুজ হবে, আর সমিতির গাড়ি পৌঁছে যাবে নির্দিষ্ট  ঠিকানায়....

শুধু আগুন নেভার আগে দেখে নিও প্রত্যেকদিন যেটা ধিকিধিকি করে পুড়েছে আজ যেন সেটা পুরো পুড়ে আংরা হয়ে যায়..

লোকটা

......... তোমরা যারা আজ আমায় বিদ্ধ করলে এই অপূর্ব শরশয্যায়, আমার অপূর্ণ প্রেম থেকেই বোধকরি তোমাদের জন্ম হয়েছিল কোনোদিন .........

লোকটা কল্পনার ডানায় ভর করে লিখে যায়
একদিন কারা যেন তার ডানাদুটো কেড়ে নেয় মাঝরাতে
মানুষটা আজ আর উড়তে পারে না
হাওয়া কেটে কেটে চলে অনভ্যস্ত ক্লান্ত দুটো হাতে

একাকী মনে সে কতবার ধরিয়েছে সিগারেট
উড়েছে ধোয়া, উড়ে গেছে তা মেঘের কোটরে
কত সহজেই মানুষ বোঝালো
মুখ আর মুখোশ, এক নয়, এই পোড়া শহরে

অন্ধকারের পোশাকে সময় বড় অসময় আজ
প্রত্যেক তারা যেন এক আলাদা নাম
চাঁদের বুকে কলঙ্ক আর চরকাবুড়ী বসে 
বোঝে না কেউ বুকভরা তার কত অভিমান

একদিন তারারা আর ফুটলো না, সময়টা তখন সন্ধ্যে অথবা রাত
বেডল্যাম্প মাখামাখি অসহ্য
মায়াবী নীল রাতে .........

সে লিখছিল

তোমরা যারা তুষার লুকিয়ে রেখেছিলে তোমাদের ঘিলুতে
তোমরা যারা জিভের আড়ালে গোপন করে রেখেছিল জীবন তছনছ করা কিছু সত্য
তোমরা যারা ময়ূর আর সাপ দুজনাকেই ভালোবেসে লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছিলে বারবার
অথবা
তোমরা যারা ঈশ্বরের পাশে সারসার হয়ে বসে থাকো মুখে নকল হাসি নিয়ে

আজ থেকে আমি তোমাদের সব অনিঃশেষ ক্রন্দন আমার বলে গ্রহণ করলাম, ......... আর তোমরা আজ যারা আমায় বিদ্ধ করলে এই অপূর্ব শরশয্যায়, হয়তো বা কোনদিন আমার অপূর্ণ প্রেম থেকেই তোমাদের জন্ম হয়েছিল .........
চমকে উঠো না, শুনতে চেয়ো না শেষটুকু

শুধু জেনে রেখো

ভোরবেলা মানুষটা শুয়ে ছিল তার কিছু সৃষ্টি আর অনাসৃষ্টির মাঝে