জাগলারি হাওয়া  এবং হার্ড নাটস্

(একটি না-সরল  গদ্য)




সন্ধ্যা ব্যলকনির আলসে ধরে  মেঘেরা বানাচ্ছে  নিও মডার্ন  আরকিটেকচার!সাদা,নীল, বেগুনি হাওয়ারা  এবাড়ি, ওবাড়ি  দাওয়াত  খেয়ে  বেড়াচ্ছে! মেঘেরা কারুর  ধামাধরে  বেড়ায় না;হাওয়ারা ও বাট খারার  ওজনে  চড়ে না।কবিরা ও কিছু  টেবিল, চেয়ার,অথবা  আরামকেদারা নয় যে  ইচ্ছেমতন  সাজিয়ে  নেওয়া  যায় ঘরের  চারদেয়াল  এর ফ্লুরোসেন্ট  আলোয়  আলোকিত  করা যায়-অথবা  কাঁচ বসানো  ফুলদানি বানিয়ে  টেবিলের  শোভা বৃদ্ধি করা যায়!বাইরের  মেঘেরা এবার হুড়মুড়িয়ে ব্যলকনির  রেলিং টপকে,পোষ্ট  মডার্ন  দেয়াল  পেরিয়ে  ঘরে র ভেতর !বৃষ্টি উৎসব  এখন।কাঁচে  ঢাকা মুখগুলো  ঢাকনা খুলে খুলে  বৃষ্টি মাখছে!কিংবা বৃষ্টি খাচ্ছে।ভিজে  ভিজে  ভালবাসার পমেটম  মাখছে;সেলগুলো  নরম হবে।চোখের মণি  স্বচ্ছতা  পাবে।শব্দ বাজি তো অনেক।চার আখরের  এই  শব্দ টা ছাড়া  আর তো  কোনও বিকল্প, নতুন  হরাইজন  দেখা যাচ্ছে না।

অভিমুখ  পাল্টালেও  শরীরি  মায়া,মোহ,মাৎসর্য  তবু  থেকেই  যাচ্ছে!মিউটান্ট মেসেজ বৈদ্যুতিন তরঙ্গে চরাচরময়!চরাচরে  এখন সুখহীনতার  জাগলারি  হাওয়া!হাওয়ায়  উড়ে  এসে পড়ছে,কিছু কিছু না  খোলা দুঃখের  পুটুলি, তারাসুন্দরীর  নাটুকে  সংলাপ,জঙ্গল  মহলের  বিষণ্ণ  রেলষ্টেশন, উপড়ে  যাওয়া রেললাইন।ভেসেলিন সময়ের ধামাকাদার  আইডিয়ার  নাভিকুন্ড  ঘিরে  কিছু কিছু  অ-সুখ জনিত  তিতকুটে  বিষাদ,বিস্বাদ।ঝিম ঝিমুনি  ভাব অলস দুপুরের  আলসে ধরে--ঝিমপেটা  শহর,খেত খামার ,দুর্গ বাড়ি, আমার  চুলে  সংলাপের  মতো,চো কিৎ, খেলার  মতো  জড়িয়ে যাচ্ছে!কাঁচের  বন্ধ  ঘরে  বসে  থাকলেই চারদিক  কেমন স্তব্ধ  নীল!সারা দিগর  সুনসান।এস্টাব্লিসমেন্ট,অ্যান্টি  এস্টাব্লিশমেন্টের  ফারাকটাই  কেমন জাগলারি  হাওয়ার  নাচন।ম্যাগাজিনের  শূন্য  চেম্বারে  কোনও  ভাবনার  কার্তুজ  নেই।সুতরাং  নেই  কোনও  বহ্নি উৎসব! অথচ  জঙ্গল ফায়ারে  পুড়ে খাক হয়ে  যাচ্ছে  বরফের অরণ্য--পাহাড়,পাখিদের  অরণ্য আবাস!ফ্রোজেন  স্বপ্ন গুলি ক্রীষ্টাল  গ্লাস  দরজায়  সেঁটে  বসে  আছে।তেতো  পুড়ে  যাওয়া হাউলস গুলি কবরের  দরজায়  আঘাত  করছে;পৃথিবী তার  মেরুদন্ড  খুলে  রেখেছে  গোপন  বেসমেন্টে র লকারে।বিবেক বন্ধক  রেখেছে মহাকালের  কোল্ড  স্টোরেজে!বৃষ্টি আর বরফের  সঙ্গমে  গাছেরা শিকড় হীনতার অনিশ্চয়তায়  ভুগছে-;সমস্ত  বিজয় উৎসব শেষে রাজপথে র সুসজ্জিত  তোরণদ্বার  এখন ক্লান্ত!জঙ্গল  মহলের  আগুনে একদিন  পুড়বে যাবতীয়  বাকতাল্লা, ফাকিং  কবিতা উৎসব, শিল্প  সাধনার  বজ্জাতি আর জালিয়াতি!ফঁড়ে  দালালদের  জমিয়ে  তোলা গুচ্ছ  গুচ্ছ  বর্জ্য  হযবরল সাগ্নিক  জামদগ্নিররা  ওম্ অগ্নয়ে  স্বাহা-"মন্ত্রে আহুতি  দেবে দাবানল  জনিত আগুন উৎসবে--অগ্নি  আর স্বাহার  প্রেমজ  মিলন --মিলন থেকে নতুন মল্লার রাগিণী--আবার  ঘুরে ফিরে  সেই  চার আখরের  শব্দ টিই উঠে  আসছে--ভালবাসা

আগুন  উৎসবে ক্যাম্প  ফায়ার,সালসা, ,ট্যাঙ্গো ঝুমুর,ভাদো--আহ্!বহ্নি উৎসব  এর  সূচনা,রচনা তো হয়েছে  সাহিত্যে-এদেশে,বিদেশে--গোপন  পেটিকায়  সেই  অগ্নি-সন্দর্ভ  ছড়িয়ে  পড়েছে সময়ের  ভাঁজে, ভাঁজে পাহাড় জনপদের  খাঁজে খাঁজে!হোসেন শাহের গৌড়  বাংলা!গৌড় বঙ্গ  থেকে প্রতিবাদী  যুগ পুরুষ  শ্রী চৈতন্যদেবের  গোপন  পুঁথি গুপ্ত  ভাবে  শাহী  সড়ক পথে বর্ধমান  হয়ে  পাচার  হয়ে গেছে  বৃন্দাবনে।যবন হরিদাস, রূপ সনাতন  শাহী  কতোয়ালী কে  বুড়ো  আঙুল  দেখিয়ে সাত রাজার ধন মানিক  নিরাপদ  লক্ষ্যে পৌঁছে  দিয়েছেন  গুপ্ত  পেটিকায়-বৃন্দাবনের লাল রজ,রেখায়  সেই  পুঁথি  এক  নিঃশব্দ  বিপ্লবের  জন্ম  দিয়েছে।

নির্বাসিত  লেখক,কবি,শিল্পীরা  বরাবর  নতুন  চিন্তা ভাবনার  জন্ম  দেন,তাই তাঁদের  কে ভয় পায়  শাসন, শোষণ যন্ত্র।হোসে  সারামাঁগোর  --The Gospel According  to Jesus  Christ",এক নতুন  ইতিহাস  সৃষ্টি করেছে।সত্যের  মুখ সবসময়  হীরণ্ময়  আবরণে  ঢাকা।তাই  শিল্পে,সাহিত্যে রূপক,দুর্বোধ্যতা-সাঙ্কেতিক আঁকিবুকি।

তাসের  দেশের মুখোশে র আড়াল খুঁজতে  হয়েছে স্বয়ং  রবীন্দ্রনাথ  কেও।রোবোটিক  অপশাসনে র বিরুদ্ধে -"Hard Talk" করতে  গিয়ে  নন্দিনী, রঞ্জন, রাজা-র মেটাফর-মেটারলিংকের--"সিম্বোলিক  এক্সপ্রেশন কে  টেনে  আনতে  হয়েছে।ছৌ  নাচের  মুখোশের  আড়ালে  আর কতোদিন  সাহিত্যের  কুশীলবরা  প্রহর  গুনবেন?

ঈশ্বরকণার  আড়ালে  ঈশ্বর শুয়ে  আছেন

গাছেরা নত হয় ভোরের  কাছে

মূর্তির  আড়াল  থেকে মুখ বেরিয়ে এলে

আকাশ আবার  সূর্য  মাখে।

--"এ ক্যায়সা দেশ?

মাল খায় মাদারি আউর  নাচ করে বান্দর?

--আরে এহি  তো আজকা চলন!

মাদারির  খেলাই  তো চলছে এখন রাজপথে,জনপদের ডিপ্লোম্যাটিক  এনক্লেভে!

লাখটাকার  হোটেল রুমে বসে নতুন  মহাভারত  লেখেন  নয়া বেদব্যাসরা।

--"বদচলন  আউরত  কো তো সাজা  হি দেনা হ্যায়"

মুখফোড়  মেয়েটির  মুখ ফসকে  শব্দ গুলো  বেরিয়ে  যায়

আউর  বদচলন  মরদ?

আবে!ইয়ে বেতমিজ, বেশরম কৌন হ্যায় রে?

শ্রদ্ধানন্দ  পার্কের  রেলিং ধরে কিছু  মদ্দ-নরক গুলজার  করছে  আর ছিঁড়ে  খাচ্ছে  so called  বদচলন  আউরতের  নাভিকুন্ড!

--"আবে!

এটা কে বে?  এটাও  জানে না যে মদ্দদের  বদচলন  বলে  কিছুই  হয় না।

বিলকুল!আমার  গ্রেট  গ্রান্ডমাদার  বলে--সোনার  আংটির  আবার  বাঁকা তেড়া?

--বদচলন  আউরতের  বোন ম্যারো  চুষতে  চুষতে  খলবলিয়ে  হাসে  শ্রদ্ধানন্দ  পার্কের  মদ্দ গুলো!

হিজ হাইনেস, হার  হাইনেস রা ডলারে  ফলার  নয়, মোচ্ছোব  কচ্ছেন!হরির  নুট  চলছে  !মানুষ  নয়!মূর্তি  পুজোর  ধুম লেগেছে। কোথাও  জঙ্গল  ফায়ার  তো কোথাও  বৃষ্টি পাতে ভেসে  যাচ্ছে  মানুষ, পাহাড়ের  চূড়ো  আর অরণ্যের  গেরস্থালি।

বৃষ্টি উৎসব  হোক  আর বহ্নি উৎসব--

অতিমাত্রায় শান্ত, জিরাফ চরিত্র  গুলো  ডাউটফুল!অ্যাক্রাইলিক

  সময়ের সরণিতে  পিছলে  যায় কনট্রাসেপটিভ ক্যারিয়ার, চরিত্রায়াণ,গুরু এবং চন্ডালের  সমীকরণ,গুপ্তবীজ  সমাধান।বুদ্ধিজীবী,"ছিল্প, ছাহিত্য"এখন একই  দাঁড়িপাল্লায়।

কাঁটা চামচ দিয়ে  কবিতা খেতে ব্যস্ত  সময়!নাইট  ক্লাব  থেকে বিছানা--রূপভেদ খুঁজতে  খুঁজতে  শ্রমজ শরীর।

শিরোনাম  হীন  একটি অনিকেত  যাত্রার দিকে

তরণী ভাসমান--

কবিতার  শরীর  খুলে যাচ্ছে-আঁটোসাঁটো শব্দের  তত্ত্ব  তালাশের  বিচরণ  বিধানে  ঢেকে  রাখা যাচ্ছে না তার  ফুলের বিকশিতযৌবন।

--"ওঠো,ওঠো কাঞ্চনমালা"--শৌহরের  ডাকে অতলান্ত  ঘুমের  চটকা  ভেঙে  হরিণনেত্র  খুলে  তাকায়--


আর কতদূরে  নিয়ে  যাবে মোরে--

হাই রাইজ বিল্ডিং ,স্কাইস্ক্রাপার  অতিক্রম  করতঃ জাগলারি লোফালুফির  ফিকর  এড়িয়ে  কিছু কিছু  কবিতার  ডিম গভীরতম  অরণ্যে সেঁধিয়ে  চলেছে--একদিন----

হার্ড  নাটস  রা ওয়েটিংরুমে  জিরিয়ে  নিচ্ছে--