শৌভিক দত্ত
লেখক / সংকলক : iPatrika Crawler

সালতামামি ও আলোযাত্রা
শৌভিক দত্ত
এক
অর্থাৎ এক জল করে শব্দ ওঠে
কাচ ফোটে নুনের ডগায়
ঝিম নামতেই
ফুলের টোকা দশ সেকেণ্ড
উপকূল শুয়ে আছে বর্গের
মনে হয়
রোদের গভীরে কোনও ডাকনাম
রাখা আছে
আছে উঁচুনিচু দেহাতী এলাকা
আর চামচের যেটুকু তলানি
তোমায় ওড়ার সম্ভাবনার দিকে
নিয়ে যায়
কবিতা সেটুকুই
সেটুকুই রাস্তা বাঁধার কথা বলে ...।।
দুই
অতএব এক প্রস্তুতি সদনে থাকি
মায়া হই,শিশু হই আলতোর
ডালপালায় মাখা থাকে আবাসিক ছাঁচ
চোখের অক্ষর খুলে
মাত্রাসিক্ত দিন ও বরফকাগজ
কুহু বসলে ছমছমে
উঠে আসে হালকা ও তৎপর
দরাদরি করি ছিলা ও ধনুকের
অথচ
আমাদের এক শিবিরবিরুদ্ধ হেঁটে যাওয়া ছিল
ছিল আয়নার দাঁড়িপাল্লায়
বানান তৈরীর খেলা
আর বন্দরবিলাস আমি
ভাবতে পারি না
পারি না শীত খুলে
বসন্তকে উঁচু নিভু শরীর পরাতে...।।
তিন
আজ প্রভাত সারাই
আজ সূর্য সূর্যমুখী
ফুল আর চন্দন
রোগারোগা বিষণ্ণ মন্দির
রাখতেই হবে এমন স্থিতিস্থাপক
অংশত প্রাচীন
ক্ষয়ে ওঠা প্রবাদ হরকরা
গোলাপ ছুঁয়েছ তাই সন্দেহ
কাগজ পেরিয়ে তাই শিশুডাক
কে ভেবেছে ত্রিকোণমিতি আর রাস্তাদাঁড়ি
ধড়কনের ফুঁসলে ওঠা
প্রচ্ছদের বাইরে
শব্দ ও শামিয়ানায় কতো মাছ
সাঁতার সামলে দরজা খোলার কায়দা ...
চার
কখনও সাধারণভাবে
ধাতব চৌকো এই সহবাস
পুংকেশর ভর করে
শিরদাঁড়ায় কমলা আলো
গুছিয়ে বসার এই শিলান্যাস
জল শুয়ে পড়ে চৌকির পাতলা বিছিয়ে
পাথর শোষণ আর দরজা
বন্ধ থাকার মেরামতি
এদিকটাতে নিম্ফুল নেই
সেলাইগড়ানো রাস্তারা যেমন
ফেরতযোগ্য এবং যথাযথ
তুমিও অনেকাংশে শীত সহমত
দেয়াল গড়ানো থাবায়
ক্রমশ বিশ্বাস্য এক দুর্গভঙ্গিমা ...
পাঁচ
ঠিকানা বিহীন ডাকটিকিটে
এই বেড়াতে আসা
আলোর যেটুকু ঠাণ্ডা আর মেঘ
শীতফোটানো রাস্তার ওই মনহুম
যেন খোদাই হয়ে আছে
নদীর অবিকল
খুলতেই চোখবাড়ী
যেন ওড়না টপকে যাচ্ছে বারোমাস
অনুমানের ঈষৎ এ
রোদ্দুরের ঘাম লেগে আছে ...।।