রোদ পড়ছে



ঢাকনাটা উপুড় আমার মুখের উপর

বাঁশখুটি ভেঙ্গে ঝুলে পড়ে বুঝি,

হঠাৎ হঠাৎ চমক চুন্নীতে রক্ত,

দুপায়ে শির শির লাগে

ফাটলগুলো পরিষ্কার, চৌচির ফাঁক

আর দেখো

এই আর্দ্রতা কারো পথ চেয়ে পড়ে থাকে

মাথার উপর ছাদ ভাঙ্গছে

এইখানে পাতা আছে ভেজা অক্ষর

এই খানে স্যাঁতস্যাঁতে কবিতা রাখা আছে

রোদ পড়ছে

কবিতা পাঠের আওয়াজ আসছে,

সোনালী শব্দের ঘণ্টা খিল খিলিয়ে উড়ে যাচ্ছে স্বর্গে

আর ইতিহাসে চলে যাচ্ছে বিবর্ণ কবিতারা

অন্দরমহল থেকে হেঁটে আসা অন্ধকার

অপক্ক কর্দমের মেহেক

রোদ পড়ছে

আর রোমাঞ্চে ভরে উঠছে বীজ ক্ষেত,

আনাচ, কানাচ

আরো সবুজে ভরে যাচ্ছে

প্রতিবেশী খামার।





ক্যালোরী ভ্যালু



যত গুড় ঢালবেন ততই মিঠা হবে

মিষ্টির স্বাদ নিয়ে এই আকাশ

আর বিস্তার নিয়ে এই বিতর্ক ।



তার পরিমাপ নিয়ে

আমাদের সেই পুরানো আদিখ্যেতা

মেয়েটার ঠোঁট বেয়ে চুঁইয়ে নামা সেই চুমুর বন্যা

সম-পরিমাণ হিংসা নিয়ে তার ঘর থেকে বেরিয়ে আসা বেড়াল

ঘুঘুর মতই সে যখন খেয়ে যায় ধান ।



পাত্রকে ঢেলে সাজায় জল নিজের আয়তন মাফিক

ব্যক্তিগত অনুভূতির ভিন্নতায়  সরভাজা থেকে

ছানারা আলাদা হয়ে যায়  ।



যত গুড় ঢালবেন ততই মিঠা হবে

যে কোন চুমুই আমি খেতে পারি

যদি তার গায়ে



ক্যালোরী ভ্যালু নোট করা থাকে।





মিনি



মিনি যা একটা মেয়ের নাম,

যার কোনো সোর্সকোড নেই,

মানে কোনো প্রোগ্রামার,

এ কোনো কিবোর্ড থেকে উঠে আসা কোনো সফটওয়ার নয়,

যেখানে আঙ্গুলগুলো কিলবিল করতে থাকে আর ঘেন্না ধরে যায়

এই প্রতিদিন সেক্স আর ডলারের তাড়না

আর নীচে শুয়ে রি রি করতে থাকা কম্পাইলার

যার কোনো ক্র্যাক নেই

কিংবা কোনো পাসওয়ার্ড

বরং ঘড়ি পরে না এমন একটি মেয়ে

যার কোমরের খাঁজে একটু মেদ আছে

যেখান থেকে ভরে নেওয়া যায় এক গ্লাস ভোদকা



মিনি একটু সস্তা,

যেকেউ একে ধরে নিয়ে গিয়ে মানে ইয়ে

মানে বেডশীটে ছিঁড়ে ফেলতে পারে

আর রাতের পর রাত জাগিয়ে

প্রতিটা পিক্সেলে তার টসটসে রস ভরে দিতে পারে।