পলক



জানি কোন এক দিন ঠিক

নক্ষত্রকে ঝেড়ে ফেলার চেষ্টায়

আকাশ প্রবীন হতে থাকবে

বৈশাখের সেই সব গানে

 তারুণ্য থাকবে ঝিমিয়ে

      শ্রাবণের সঞ্চয় প্রত্যাশায়।

তারাখসা উপভোগে ব্যস্ত হয়ে পড়বে শহর

নাগরিক যাপনে আসবে মূর্ছনা

কবি গাইবেন গান, রাজা ভাববেন কবিতা

বার্ধক্যের দোরগোড়ায় আকাশের অন্তিম সংকীর্তনে

অংশ নেবে নাক্ষত্রিক পুঞ্জীভূত অক্ষমতা

মৃত্যুর সেই সব শাদা রাতে

আবার প্রথম থেকে শুরু ।।







সূত্র

 

রং আর আলোর মাঝে

মেশানোর জন্য একটা চাকতি থাকে

বনবন     ঘোরে

সব রং সাদা হয়ে যায়

সাদা রং আলোর মতন ।।







দৃশ্য



বিচ্ছিন্ন ভীড়ের বারান্দায়

শব্দের মরশুমে হঠাৎ দেখা

দূরে কোথাও মেঘ জমছে

স্বচ্ছ হয়ে উঠছে বৃষ্টি তখনো

এরপর,

কথা শুরু হল ...







প্রত্নতত্ত্ব



সিন্ধু সভ্যতা পড়তে শুরু করলে

    ঋষিরা ধ্যানমগ্ন হন

একযুগ জলের মতো

    ধ্বংসের উল্লাস অভ্যাসে -

মানুষ নিশ্চিহ্ন হয়

স্তরের আদিম ভোরে আঁকা থাকে

আগুন পাওয়ার উদযাপন

লেখা থাকে, রাতের

আকাশমোড়া বিস্ময়

নদীকেন্দ্রে তারপর টালমাটাল হয় গতি --

       মা-কে নদি মনে হয়

 চাষাবাদ -- পশুপালন --বিস্তৃত স্থাপত্য

  এরও অনেক পরে ইতিহাস বই ।।