সহজ কবিতা

দূর্বাদল মজুমদার

সহজ কবিতা-১



একটি চাঁচরচাঁদ আনসান

       তার ছইজুড়ে অভিশ্বাস গানতরল

              উঠা রুঠা ঋ-বাঁধা রিড

                      কেউ কি বাজাবে তাকে?



কেউ বুঝি তুলে আনতে গেল খয়েরি বিষাদের রাং ও রজন। তারগুলি কাঁপে।বৃদ্ধ এক,সুরবুকো মানুষ ট্রেন থেকে নেমে,জলে বুক ভ'রে।সনাতনবৃক্ষে ঠেস দিয়ে রাখে মনোকর্ড। ভেতরে যেসব আলোকালো ফুট ও বিবাগ ফুলছে

ধরে রাখে ঐ বীন বীন চোখ।





সহজ কবিতা-২



কোথাও দুর্গুম্ দুর্গুম করে শব্দ ভাঙে  জলের আশ্রয়ে



লাচদুয়ারে ধোঁয়া,   অন্তরঘরে একটা হান্ হান্ পোকামাকড়



পুড়ছে।



প্রাচীন ছাতিমগাছের মতো



একটা বোধ         একটা তিয়াসাবাঁধানো ঘাট



আমরা শুয়ে পড়ি     পোড়াপোড়া অর্ধেক মনের পাশে।



রান্নাঘর থেকে বাজারের মাঝে একটা স্পেসস্টেশন

তোমার থেকেও।

এক একটা অ্যাস্ট্রোনট পকেটে দূরত্ব সাজিয়ে

জিরোপয়েন্টে লাফিয়ে পড়ছে



আমারও কত কী ছিল!

আসলে জাবরও একটা সময়কাটা ঘড়ি



আমরা কখনো মাটিতে পা রাখবো না, জেনেই রাস্তায় নেমেছি।



বাড়ি সরে যাচ্ছে পিছে

আমরা সবই জানি



অবধারনের ভেতর বসবাস ও বিশ্বাস আমাদের।





লোক ও লস্কর

#####

কোথাও ভিজেভিজে লোক তুমুল টগর উঠলে তার আলোআলো রঙ মেখে রাস্তা সাজায়,ভোরবাসা করে।



আমি সেই বি-রহন মনেধরে এত তীব্র দুধ ভরে রাখি!

             বাস্প রাখি নিজের প্রপাতে



যে কাঞ্চন চেয়েছি নতিশীল নীলপদ্ম হাতে, তাকে সোনা বলে ডাকো।



সে আসলে নিরেট কাঁচাতরলের দানা

গলাভরে পানকরি

                     রীত-পরীতের সাঁঝে।