বংশ



কুবলয় বসু




ডাকছে অলীকগ্রন্থ, আজন্ম লালসা

প্রিয়শব্দ যুদ্ধবন্দি জাফরির ফাঁকে

হেঁট হয়ে তুলে নিই ইভের আপেল

দংশনচিহ্ন ধরে পথ বুঝে রাখি

অরণ্যের অগোচরে বাকলপোষাক

দেখে হাতছানি দ্যায় আদিম ফ্যাশন

কবচতাবিজমন্ত্রে বাহুর আরাম

তবু রোজ স্বপ্নে আসে অগুরু-চন্দন

একেকটা সন্ধেবেলা ঘরের বাগান

ভরে যায় রূপকথা, ইশারা, ভাঙনে

কন্যাদায়গ্রস্ত-পিতা অসহায় চোখে...

তার নামে লিখে দিই - আমার আত্মজ






জীবিকা








ট্রেনে ফেরা… ঘামে ভিজে তামাটে বিকেল

বিব্রত জুতোর নিচে লক্ষ পদছাপ

আমার ঘুমের পাশে সুখী পরিবার

রোজ রাতে স্বপ্ন দ্যাখে অন্য শিকড়ের

#

আমি তো কৃষকপুত্র, ভোর ভোর উঠি

আলপথে ক্ষেতে যাই বীজধান নিয়ে

ঘরের দাওয়ায় বসে ধান ভানে বউ

প্রকৃত কষ্টের কথা কে জানবে আর

একসঙ্গে পান্তা খাই, ফসল ওঠাই

এর বেশি জীবনের অন্য মানে নেই








শেষ অংশ




মধুমাস- পাঠিকা বর্জিত

চোখ চলে যাচ্ছে পরিণত গোয়েন্দা-গল্পের দিকে

সেখানে তুমুল হাততালির ভেতর দিয়ে

ট্যুরিস্ট স্পটের সন্ধান…

পরিচয়, পোস্টাল অ্যাড্রেস সব লিখে রাখা আছে

ঘুমের বড়ির স্ট্রিপে

আর তারপর-

চরিত্রেরা নিরুপায়…

#

অনিবার্য কারণবশত এই কাহিনির শেষটুকু

রয়ে গেছে সদ্য সমুদ্রফেরত হানিমুন ফ্রেমে…