তারপরে...



দেবার্ঘ্য দাস




(১)



সেইভাবে বলা যেত

পৃথিবীর ভিতরেই হয়ত নতুন কোন দেশ খুঁজে নিয়ে চড়ুইভাতি করতাম

কাঁটাতার-জলপাহাড় পেরিয়ে খড়ের চাল

কাজললতায় আরও একটু বেশি উজ্জ্বল দেখাবে তোকে

ভাতের থালায় কান্না জমে থাকবে, নুন আনতে পান্তা ফুরোবে না।

লাল বারান্দায় অপেক্ষা থাকবে মিশে

মেঠো পথ বেয়ে শ্রাবণ আসবে বেশ জোরেই

বৃষ্টি মাখা আদরে ফের তুই আর আমি ধোঁয়া গন্ধ ভ্যানিশ...

কিছু বন্ধুরা আসবে

শহর থেকে বেরিয়ে বন্ধুর পথ দিয়ে স্মৃতিপট জমাটি

বাসি ওয়াইন আর পুকুরের মাছভাজা দিয়ে হরেকরকম আড্ডা

মাতাল হয়ে গান ধরব "take me on a trip ypon your magic swirlin' ship..."

সবাই ফিরে যাবে তারপর ফিরে আসার জন্য

আবার কাঁটাতার

জল,পাহাড়, মনকেমন -

খয়েরি জানলা হলুদ সকাল

ফিকে হয়ে আসা

ডায়েরির পাতা

অনেক প্রশ্নের ভিড় কাজললতায়;



সেইভাবে যদি বলা যেত

তোর আমার নানা রঙের সংসার।





(২)





বন্ধুদের ডাক ফিরে আসে

আরেকটা সাদামাটা রাত্রি চলে যাচ্ছে জোনাকির রঙে

তুমিও আছো বাদবাকি অগোচরে

হেসে হেসে বৃষ্টিজল আমায় ধুয়ে দুতে চায়

আদিম অরণ্যের শূন্যতায় পিয়া পিয়া ভেসে আসে।

কোথায়? কেন? কিসের খোঁজ?

মনকেমনের অছিলায়, রান্নার অজুহাতে

ক্লাস পালানোর সবকিছু থেকে মুখ ঘুরিয়ে নেওয়া- কাঁহে সাঁতায়!!!



নিরুদ্দেশের ঠিকানা লেখা হয়নি

ম্যাগাজিনের ডেডলাইন ওভার

আমিও শুরুর থেকে শুরু করার অভিপ্রায়-হরফ বদলে যাই

গন্ধ সেই এক থেকে যায়





(৩)



ভরদুপুরে ছায়ার সঙ্গে পা মিলিয়ে

এগিয়ে যাওয়া অজানায়। দূরে লংশটে আটকে যাচ্ছে কার্নিশ মাখা ইলেকট্রিক তার। সরু হয়ে আসা  রাস্তা, ভুল হয়ে যাওয়া আবদার।

মেপে নিতে চাইছি তোমার বলিরেখা ক্লোজআপ ফ্রেমে তোমার মুখে ফুটে ওঠে স্পষ্টতা। যা কিছু ধোঁয়াটে সবটাই আবছস গ্রে কালারড!

ফোর গ্রাউন্ডে আমাদের কাছাকাছি ভ্যানিশ হয়ে যায় আস্ত চিলেকোঠার ঘর।

সিন ওয়াইন থেকেই সাবপ্লটের রেশ... বাউন্স হয়ে লাফিয়ে যাচ্ছে ধরতে চাইছে

তবুও

সময়ের খামে ক্যালেন্ডারের হিসেব নিকেশ

অন্য ফ্রেমে থাকতে পারে

বিষণ্ণ ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোরে বাজতে থাকুক।

মুনলাইট সোনাটা কিংবা 'হ্যান্ড ক্যান নট ইরেস'

আহত পাখির-

নাবিকের কম্পাস থাকুক বাদবাকি ডালে ঝোলে অম্বলে

ওয়ান লাইনার গুলো মনকেমনের স্নানাগার

দেওয়ালে বাষ্প জমে

শুরু শেষ একইসঙ্গে

ঘুম নেমে আসে কালো পর্দায়।