দূর হৈতে ফুল্লরা বীরের পাল্য সাড়া |

সম্ভ্রমে বসিতে দিল হরিণের ছড়া ||

বোঁচা নারিকেলের পুরিয়া দিল জল |

করিল ফুল্লরা তবে ভোজনের স্থল |

চরণ পাখালি বীর জল দিল মুখে |

ভোজন করিতে বৈসে মনের কৌতুকে ||

সম্ভ্রমে ফুল্লরা পাতে মাটিয়া পাথরা |

ব্যঞ্জনের তরে দিলা নূতন খাপরা |

মোচড়িয়া গোঁফ দুটা বান্ধিলেন ঘাড়ে |

এক শ্বাসে সাত হাড়ি আমানি উজাড়ে ||

চারি হাড়ি মহাবীর খায় খুদ জাউ,

ছয় হান্ডি মুসুরি সুপ মিশ্যা তথি লাউ |

ঝুড়ি দুই তিন খায় আলু ওল পোড়া |

কচুর সহিত খায় করঞ্জা আমড়া ||

অম্বল খাইয়া বীর বনিতারে পুছে,

রন্ধন করাছ ভালো আর কিছু আছে |

এন্যাছি হরিণী দিয়া দধি এক হাড়ি ,

তাহা দিয়া অন্ন বীর খায় তিন হাড়ি |

শয়ন কুতসিত বীরের ভোজন বিটকাল,

গ্রাসগুলি তোলে যেন তে আটিয়া তাল ||

ভোজন করিয়া সাঙ্গ কৈল আচমন,

হরীতকী খায়্যা কৈল মুখের শোধন |

নিশাকাল হৈল বীর করিলা শয়নে,

নিবেদিল পশূগণ রাজার চরণে |

অভয়ার চরণে মজুক নিজ চিত,

শ্রীকবিকঙ্কণ গান মধুর সংগীত |