যে-বাণীবিহঙ্গে আমি আনন্দে করেছি অভ্যর্থনা

ছন্দের সুন্দর নীড়ে বার-বার, কখনো ব্যর্থ না

হোক তার বেগচ্যুত, পক্ষমুক্ত বায়ুর কম্পন

জীবনের জটীল গ্রন্থিল বৃক্ষে ; যে-ছন্দোবন্ধন

দিয়েছি ভাষারে, তার অন্তত আভাস যেন থাকে

বত্সরের আবর্তনে, অদৃষ্টের ক্রূর বাঁকে-বাঁকে,

কুটিল ক্রান্তিতে ; যদি ক্লান্তিআসে, যদি শান্তি যায়,

যদি হৃত্পিণ্ড শুধু হতাশার ডম্বরু বাজায়,

রক্ত শোনে মৃত্যুর মৃদঙ্গ শুধু;— তবুও মনের

চরম চুড়ায় থাক সে-অমর্ত্য অতিথি-ক্ষণের

চিহ্ন, যে-মূহূর্তে বাণীর আত্মারে জেনেছি আপন

সত্তা ব’লে, স্তব্ ধ মেনেছি কালেরে, মূঢ় প্রবচন

মরত্বে ; খন মন অনিচ্ছার অবশ্য বাঁচার

ভুলেছে ভিষণ ভার, ভুলে গেছে প্রত্যহের ভার |