দুই কবি ও বিদূষী 



দুই কবি বসে আছেন

‘তুমুল যৌনতার ভেতর প্রগাঢ় মাতৃত্ব’ এই নিয়ে

দু-দুটো মত । বন্ধুত্বপূর্ণ, বিবাদাস্পদ আবহাওয়া।


অগত্যা মাঝে এলেন এক বিদূষী শিল্পী

জানালেন : ‘তুমুল যৌনতার ভেতর প্রগাঢ় মাতৃত্ব’ নিয়ে

তাঁর মনে কোনো বিরোধ নেই।


বিবাদি কবি বললেন : এ বিষয়ে বিদূষীর কথাই তাহলে গ্রাহ্য হোক।

কেন না সে বিদূষী ও নারী, এ বিষয়ে তারই প্রধান অধিকার।

অথচ বাদি কবি যারপরনাই চান প্রবীন কবির মন জিতে নিতে ।

বিদূষী হাসে— 


শিশুপাঠ্য, সাহিত্য, ইতিহাস, দর্শনের পক্ষপাতগুলো, মাতৃত্বের ছদ্ম কীর্তি,

শঙ্করাচার্য ও চানক্যের অপমান, মনে পড়ল ফ্রয়েডের কথাও :

‘নারী তুমি পুরুষাঙ্গহীন অসম্পূর্ণ পুরুষ’ !                                                                                                                           


দুই কবিকে সঙ্গে নিয়ে তাহলে এখন কোথায় চলেছেন বিদূষী ?

তুমুল যৌনতা ও প্রগাঢ় মাতৃত্বের  জৈবিকতার ভেতর কৃত্তিম সংস্কার

নিয়ে ঢোকা নিষেধ , বলেই হঠাৎ এমন ঘুরে দাঁড়ালেন—

                           উফ্ সে যে কী শীতল বিস্ফোরণ !



পর্ণা ও সঞ্জীবদাকে  

 


তোমাদের বালির বাড়িটির কথা। আমি ওবাড়ির গবাক্ষটির

কথাই আসলে বলব।

          জানলা দিয়ে জোয়ার ভাঁটা, কচুরিপানার তীর্থযাত্রা ,

মেছো নৌকো, প্রোমোদ তরী, রোদ ঝিলমিল, বাণের ঢেউ,

ঘূর্নিজল, ধ্যানি বক, ,জলপিপি, হঠাৎ শুশুক, ব্রীজের ছায়া,

অস্তরাগ, ভাষাতীতের কত শব্দ , ধ্বনি …



আড্ডাছবিছন্দের কেন্দ্রে বসে আছ তোমরা। তোমাদের

হৃদয়গবাক্ষটির কথা যত বলি— ধ্বনির স্মৃতির সঙ্গে

নয়া রঙ লেগে নতুন নতুন অর্থ ওঠে ফুটে !



গবাক্ষযুগলের বন্ধুত্বের পাশে যখনই বসি, এক ভ্রাম্যমাণ

চিরস্মরণীয় বোধ … 

          আবার, তোমাদের ভাবতে চাই বাক্য ও মনন,

অদ্বৈতভাবে, তোমাদের, ক্রমপ্রসারণশীল মনে হয় !