রবিয়ালি



লুকোচুরি খেলা শেষ...

পিলসুজের কালি মাখা ওম

আজানের প্রাতঃসুর

রাজপথে তৃতীয় বিশ্বের বিলাপ

শীত চাদরে সহস্র শতাব্দীর অপেক্ষা আর

শীৎকারে ভেঙ্গে যাওয়া স্বপ্ন ____

ইউটোপিয়া...

জানি, নন্দিনীর কথা তোমার মনে নেই রঞ্জন

যেমন করে মনে আছে সিড়ি ভাঙ্গা অঙ্ক

জানালায় সমুদ্র আসেনি কখনও

তবু সরষে পৌষে নবান্ন নলেনে

রক্তকরবি পোড়ায় রাজার ঘর...

মিছিলে এসো আরেকবার

মশালে রাখো চোখ

দেখো কি ভীষণ অন্ধকারেও জ্বলে আলো...







শহরিলা



কিছু ভিজে যাওয়ারা অসুখ মানেনা...

কয়েক ফোঁটা অভিমান শহরের ধুলো মাখলেই

আদুরে রুমাল হয়ে যায়

কস্মোপলিটন চাদরে রূপোলি ঝিনুক খেলা করে

আমি সাগর গন্ধে

মিশে থাকি ঘামে মানুষে

ঠোঁটের ভিতর ঠোঁটে...

চেয়ে থাকি মিলিয়ে যাওয়া ধোঁয়ায়

চায়ের কেটলি হাতে যে ছেলেটি

হাতের তালু সেকে

চেয়ে থাকি তার পায়ের কড়া নাড়ায়...





অমন



মশারির ভিতরে ঢোকার পর মনে হয়ে

বাইরের যতটুকুতে আমি ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকি

এই ধরো রংচটা দেয়াল, আস্ত একটা ছাদ,

মেকাপ বাক্স, ড্রেসিং টেবিল, বই এর র‍্যাক...

কিংবা ধরো ওই চিঠি পত্তর, গোলমরিচ,

সাবান, পার্ফিউম, আয়নার কাঁচ...

অনাত্মীয় মূল্যবোধ; তার চেয়ে মশারির ভিতরকার এই আমি

পাশবালিশ, চাদরে অমিলমিশে ঢের কম সাবলীল।

অভিনয় এক মস্ত অভ্যেস...

মাঝরাতে স্বপ্নেরা জামা খুলে দাঁড়ালে মনে হয়ে

ভাগ্যিস মশারির জানালা নেই কোনো...

ভাগ্যিস কালি, কলম, কাগজের ওইপারে

নেই কোনো মন..

চুন- হলুদে কতটুকু ব্যথা সারে

কতটা আদরে ছায়া হয়ে যায় আলো?