অ|লিখিত জলের মাদল



এবং রাজকীয় এপ্রোন পরা প্রস্থান নিয়ে কার প্রচ্ছদ আঁক?

কাহারবা ও কার বা যাবতীয় শয্যা-কলা অঙ্গে নিতম্বে ষদুষ্ণ জলসঙ্গম

কালোতিতিরের কম্পিত কোরাস স্বাক্ষর রাখছে নগ্ন ও হিমমগ্ন সমুদ্রের 

   অ|লিখিত জলের মাদল 


শ্বেত বামনের শ্যাডো। দৃশ্যরা জমানো ঝিনুকফুল! তরঙ্গতত্ত্ব শুনতে পাচ্ছো কী!

শরীরের ভাগ ও ভূ গোল 

 যে ভূগোলে পর্যটকের মতো বেড়াতে গিয়েছো রেলিং দেওয়া গ্যালারিতে।


পোশাক ফেটে বেরিয়ে পড়া খাঁজ কাটা ভাঁজ ও ভাস্কর্য 

যেখানে তরতাজা শব্দের ঝংকার 

   আনত বিনত আদ্র স্থানের ঘাসের ডগায় ঠোঁটোগ্রাফ আঁকে চর বিজয়!!


গিটারিস্ট আঙুলের ইশারা 


জলাশ্রিত মাংসাংশ ১তারা, কাছেপিঠে সীমান্ত ওপাড় তবু পড়া যাচ্ছে জলজ ঝুমঝুমি!

       এমন তরলায়িত রাতে দূরের ল্যামপোস্ট খুলছে নুনের স্বাদ, সমদ্বিবাহু ত্রিভূজ তখনও খোলে নি আগ্নেয় লাভার বেডরুম!

গিটারিস্ট পঞ্চম আঙুলের ইশারায় ঘামেরা খুলছে ৬৪কলার এই মহাবিদ্যালয়!

লাভা ও লালার সুতোমিশ্রিত আমাজন বনজপত্রী একটা ম্যাচবক্স ও ড্রপআউট ক্যাচের অভাবে ভুখা রয়ে যাচ্ছে আজও...


ট্রামরেস আয়ুরেখাপথ 


অঙ্কের গাড়ি—ধরো ১/ ২ /৩—তাদের ফাঁক গলে বেরিয়ে যাচ্ছে যে লাশবাহী এ্যাম্বুলেন্স, তার বাঁশি ও ধোঁয়াশাতোলপাড় রেসের মধ্যে একজোড়া চোখ। 

      একটি চোখ, ভাগীরথী

      একটি চোখ, অলকানন্দা

      দূর-সম্পর্কে বোন হয় তারা।


আর এক জীবনানন্দ মনখারাপের ট্রামের নিচে আইসবার্গের মতো নিজেরই ভঙ্গুর মাথা ফেলে রেখে তিতিক্ষায় আছেন।

তিনশত ষাট ডিগ্রী ঘুরে এসে ফের-আবার দেখা দিলো নিজের ডেডবডি। ওখানে কলির কৃষ্ণ, তার বাঁশি ও সুরসঙ্গমে বিভোর হলে, বসন্ত অধরাই রয়ে যাচ্ছে আজ!

দশা এই—দীর্ঘশ্বাসে জড়ানো বিষাদের নখে-বুকে রক্তের দাগ! দহন ও দংশন হতে পারে মৃত্যুর যথার্থ বিকল্প সঙ্গীত

কৃষ্ণের বাঁশিটি হাতে ধরে ফিরে যাচ্ছিলাম হাতের মসৃণ আয়ুরেখা ধরে। আর কোন বিকল্প মানচিত্র থাকলে বলো।