দুপুর বেলা ঘাসের ওপর শুয়ে শুয়ে তখন। মাথার
ওপর একটা চিল ঘুরপাক খাচ্ছিল
, শকুনের ন্যায়। মোবাইল
তাক করতে তিনি ছবিতে ধরা দিলেন। এবং আমার মনে পড়ল
'যেদিনকে
ডানা আর ডুবুরি
'
গদ্যটার কথা। তারই
অংশবিশেষ পাঠক সমীপে।



 



চিলার উড়ান



*********



 



...... আব্বাকে ছোটবেলায় কে নাকি শিখিয়ে
দিয়েছিল ‘চিলার উড়ান’। কীভাবে নিজেই চিল হওয়া যায়
, ডানা
গজিয়ে নিতে হয়
, ডানা বেঁধে উড়তে হয় শিখিয়েছিল। বাবা শেখেনি
ভালো মতন। ঠকে শেখেনি। ঠকবার গল্প তবু বাবা জানত
, বলেছিল।
উড়বার তাড়না বাবার একার তো নয়
, অনেকের ছিল, থাকে। আজও অমনই আছে দিন বদলে গেলেও, রাত্তির না
বদলালেও। বাবা শেখেনি উড়ান
, আমিও শিখিনি। শোনাটা কেবল কানে
কানে মুখে মুখে চোখে চোখে সরু অলিগলি কিংবা আলপথ হয়ে আমাদের মধ্যে। ভেতরবাড়িতে
হাজির। ভেতরবাড়িটা কখনও
, কখন দ্যাশবাড়ি হয় আবার। একটা গল্প
সকলে জানে ডানা ভাঙার। ভেঙেছিল এক গাঙচিলের। বাংলার পুব হতে সে অতিদূর কোনো
কলিকাতা এসেছিল উড়ে উড়ে। বা কলিকাতা থেকে কোথাও কামরূপ-কামতাপুর গেছিল উড়ে উড়ে।
এমতন কত উড়ান। কোথা থেকে কোথায় যায় কে। আবার একাধিকটা গল্প জানিনা ডানার
, আর তার চিলের। কেউ কেউ। যেমন চিলা রায়। সেও আছিল এক চিল। যেমন পরি। পরিরা
নাকি রাজা-রাষ্ট্র-রাক্ষস ইত্যাদির গড়া সীমান্ত পেরতে গিয়ে নিয়ত তাদের ডানা
খোয়ায়।........