তুমি আর টুকটাক



বিকেলের নিঃশ্বাস বেয়ে যে সিঁড়িটা

ঠিক তোমার বাড়ির সপ্তমীতে আটকে গেছে,

সেখানেই শুরু হাইওয়ের প্রাচীন উপন্যাস।

অনেকটা বৃহন্নলার উপশিরার মত

শিরা বলে কিছু নেই

শুধু কিছু নাস্তিক রক্তপ্রবাহ মাত্র

এই স্নায়বিক আন্দোলন ছিঁড়তে চাইছে

তোমার জালিকাহীন রিংরোড

আর কালকের পাপড়ি চাট

ফেরোমেনার প্রসব বেদনায় ভিজে যাওয়া

এই নিঃশ্বাসের তেরো বছর

কিছু আতর প্রবাহ শুধু







ভাবনা থেকে



কতগুলো মন খারাপের ঠিকানা

এই ব্যাস্ত জানালা

আয়নায় মুছে দিলে

সেই ইলিউশানগুলোই খুঁজে পাওয়া যায়

অনেকগুলো মায়াবী ব্যালকনির

আশেপাশে প্রজাপতি পুড়ছে মধ্যবর্তী দূরত্বে

কিছু মতলবি সার্টিফিকেট

আর মেয়েটির হাত ভেজা জল







রূপকথার গল্প



গর্ভাশয় থেকে রুপোর কাঠি গড়িয়ে

পরজীবীর চাদরে আর সোনার কাঠি নাভিশ্বাসে

জেগে উঠছে শতাব্দীপূর্ব যুবতী স্নায়ু

তার লোমকূপ দিয়ে বেরিয়ে আসছে গুঁড়ো গুঁড়ো

থার্মোমিটার

লাল হয়ে যাচ্ছে চৈত্রের নাভিকূপ

মায়াবী থালার শীতার্ত পরিবেশন

খৃষ্টপূর্ব লাল স্তন ---

স্তন নয় যৌন পিণ্ড

উপধমনী নিয়ে দ্বিপাক্ষিক শরীর রচনা কিছু

রূপকথার সালোকসংশ্লেষ বসেছে

রাক্ষসতাল

মাংসল ড্রয়িংরুমে পোয়েটিক অ্যাশট্রে

কালরাত আবার হারিয়ে যাবে