নভেরা হোসেন
Author / Editor : iPatrika Crawler

বাড়ি বদল
সকাল থেকে অঝোর ধারায় বৃষ্টি ঝরছে । মুহূর্তে বাসার সামনের রাস্তায় জল জমে গেলো। হাঁটু পানি থেকে কোমর পানি । নয়না বারান্দায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখে একজন প্রৌঢ় পানির মধ্যে পা ডুবিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন । এক ভ্যানওয়ালা পানির ভেতর দিয়ে মাল -পত্র বোঝাই ভ্যান টেনে নিয়ে চলেছে।
কেউ হয়তো বাড়ি বদল করছে , এই কয়েক মাসে নয়নাদের পাড়ায় অনেক বাসায় টু-লেট্ ঝুলতে শুরু করেছে। প্রায় এক বছর হলো নয়নার চাকরি চলে গেছে, খুব বড় কোনো চাকরি নয় পত্রিকার অফিসে প্রুফ রিডিংয়ের কাজ। নয়না আর সজীব দুজনের চাকরির টাকাতে কোনোমতে চলছিল তিনজনের সংসার। বাচ্চাটা ছোট সাত বছরের। দু বছর আগে মোহাম্মদপুরে একটা স্কুলে ভর্তি করা হয়েছে । লকডাউনের পর থেকে স্কুলে যেতে পারছে না, অন-লাইনে ক্লাস হচ্ছে। নয়নার চাকরি চলে যাওয়াতে সারাদিন মেয়ে পুতুলকে নিয়ে কাটায়। সজীবের একার বেতনে বাসা ভাড়া দিয়ে, মেয়ের স্কুলের বেতন দিয়ে, বাজার খরচ চালানোই কঠিন হয়ে পড়েছে। দেশে সজীবের অসুস্থ মা আছে, তাকে টাকা পাঠানো বন্ধ। প্রায়ই আলু ভর্তা আর ডাল দিয়ে ভাত খেতে হচ্ছে , শুধু মেয়ের জন্য একটা ডিম ভাজি করা হয় । অনেকদিন পর বড় বোন সান্ত্বনা এসেছে। সান্ত্বনার অবস্থা ভালো, দুলাভাইর কন্টাক্টারীর কাজ, ঢাকায় দুটো বাড়ি, অনেক টাকা ভাড়া আসে। তবে করোনার জন্য অনেকেই বাসা ছেড়ে চলে যাচ্ছে, অনেকে কম ভাড়ায় থাকছে, পরিবার দেশে পাঠিয়ে মেসে থেকে চাকরি করার চেষ্টা করছে। সান্ত্বনার হাত খোলা, ছোট বোনের বাসায় আসার সময় দুনিয়ার বাজার করে নিয়ে আসে। এবারও মুরগি, গরুর মাংস, পোলাওর চাল, নানা জাতের ফল, বিস্কুট নিয়ে এসেছে। বোনের এসব উপহার নয়নার ভালো লাগে কিন্তু একটু অস্বস্তি হয়। দুঃসময়ে বোন পাশে এসে দাঁড়ায়, যাওয়ার সময় দু -চার হাজার টাকা দিয়ে যায়।
কিরে নয়না আজ কি রান্না করেছিস ? বলতে বলতে রান্না ঘরে ঢুকে পরে সান্ত্বনা।
কিছু নারে পেঁপে ভাজি, ডাল আর ডিম।
সান্ত্বনা বলে এক কাজ কর আমাকে গরুর মাংস আর পোলাওর চাল ধুয়ে দে, ঝটপট বিরিয়ানি রান্না করে ফেলি পুতুলের জন্য।
কি যে বলো এখনতো দুটো বেজে গেছে।
তাতে কি আমার সময় লাগবে না, দেখ ব্যাগের ভেতর শানের বিরিয়ানি মশলা আছে। দুবোনে হাত চালিয়ে বিরিয়ানি রান্না করে ফেলে। বিরিয়ানির গন্ধে ঘর ভরে ওঠে। পুতুল খালাকে পাওয়ার পর থেকে পেছন পেছন ছুটছে। সান্ত্বনার ছেলে -মেয়েরা বড় হয়ে গেছে, মেয়ে যুক্তরাজ্যে পড়াশোনা করে , ছেলে এ লেভেল দেবে । পুতুলকে পেয়ে সান্ত্বনার ভালো সময় কাটে । দুপুরে তিনজনে গরুর বিরিয়ানি খায় ।
খালা, তুমি মাঝে মাঝে আসতে পারো না ? তাহলে কত চকলেট খেতে পারি ।
নয়না মেয়েকে চোখ দিয়ে ইশারা করে বলে পুতুল ড্রয়িং রুমে গিয়ে খেলো, খালার সাথে একটু কথা বলি।
আপা আমার খুব ভয় লাগছে ।
কিসের ভয় ?
আমার চাকরিটা চলে গেছে , সজীবের ফ্যাক্টরিতে শুনছি লোক ছাটাই হচ্ছে ।
হোক, সজীবের সমস্যা হবে না, ও ভালো কাজ জানে, ওকে ছাটাই করবে না।
না আপা এখন দেশের অবস্থা ভালো না , যেদিকে তাকাই শুধু বেকারত্ব , এই মহামারীতে কত লোকের যে চাকরি চলে গেছে, অনেককে ঢাকা ছেড়ে গ্রামে ফিরে যেতে হচ্ছে। এ বাড়ি ছেড়ে সে বাড়ি যেতে হচ্ছে।
তুই এতো চিন্তা করিস না, সজীব কিছু একটা করতে পারবে, আমরা আছি তুই এতো ভাবিস না।
নয়না ওর লম্বা চুলগুলো মেলে দিয়ে বিছানায় শুয়ে পড়ে, এতোক্ষণে বিদ্যুৎ এলো, বৃষ্টিও কমে আসে, সান্ত্বনা চলে যায় । নয়না বারান্দায় দাঁড়িয়ে বোনের চলে যাওয়া দেখে । নীল রঙের জি করোলা গাড়ির ভেতর সান্তনাকে নয়নার কাছে অচেনা লাগে। একই মায়ের পেটের দুবোন অথচ কত পার্থক্য । সান্ত্বনা বরাবরই উচ্চাভিলাসী, প্রেম করে ফাস্ট ক্লাস কন্ট্রাক্টরকে বিয়ে করেছে, কখনো সংসারে অভাব -অভিযোগ দেখতে হয় নি। বিয়ের পর থেকে ছেলে -মেয়েদের নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে । বাবার মৃত্যর পর নয়না মফস্বলের কলেজ থেকে বিয়ে পাস করে বোনের বাসায় আসে। ভালো কোনো চাকরি খুঁজে পায় না, সান্ত্বনার বান্ধবীর সূত্রে পত্রিকা অফিসে প্রুফ রিডারের কাজ পায়। সান্তনার স্বামী নয়নাকে সজীবের সাথে বিয়ে দেয়।
নয়না ভাবছিলো আজকে বাজারে যাবে। মাসের বাজারটা করবে কিন্তু সকাল থেকে ঝুম বৃষ্টি শুরু হয়েছে, রাস্তায় পানি জমে গেছে । বৃষ্টি কমলে নয়না ছাতা নিয়ে বের হয় কাঁচাবাজারে। মাছ -মাংস আকাশ ছোঁয়া দাম । একটা কাতল মাছ, কিছু চিংড় , পটল, লাউ, কয়েক পদের শাক । চাল -ডাল চিনি, তেল ফুরিয়ে গেছে সেগুলোও কেনে । হঠাৎ পেছন থেকে কেউ নয়না নয়না বলে ডাকছে , তাকিয়ে দেখে ভিকটোরিয়া কলেজের শফিক।এতদিন পর ! শফিককে দেখে নয়না চমকে ওঠে । শফিক নয়নাকে খুব পছন্দ করতো, নয়নাও করতো কিন্তু নয়নার ভেতরকার ভয় ওদেরকে কাছে আসতে বাধা দেয় । নয়নার মনের ভেতর শফিকের জন্য সুক্ষ একটা অনুভূতি রয়ে গেছে এখনো । হঠাৎ এতদিন পর এভাবে দেখা হয়ে যাওয়াতে দুজনেই কিছুটা আবেগতাড়িত হয়ে পড়ে ।
কেমন আছো নয়না ?
ভালো আছি , তুমি ?
এইতো আছি, কিছু কেনাকাটা করতে এসেছি । তোমার বাসা কি এখানেই ?
হুম ঢালাই কারখানার মোড়।
বাহ্ আমার বাসার কাছাকাছি , একদিন বাসায় আসো।
নয়না বলে তুমি আসো একদিন , আমি সারাদিন বাসায় থাকি । নয়না ফোন নম্বর দিয়ে চলে আসে । সত্যি এতদিন পর শফিককে দেখে নয়নার কেমন লাগছিলো । জীবনের পেঁয়াজ -রসুনের হিসাব মনের ভেতরকার সুক্ষ অনুভূতিগুলোকে যেন রাক্ষসের মতো গিলে খেয়েছে । কি আনন্দের ছিল সেসব দিন , কলেজের পথে সহপাঠীদের সাথে আড্ডা , চটপটি খাওয়া । হঠাৎ করেই শফিক এসে হাজির হতো, নয়না একটু আড়ষ্ঠ হয়ে উঠতো । শফিক অনেক বলতো চলো তোমাকে বাসায় পৌঁছে দেই, নয়না কিছুতেই রাজি হতো না । বলতো ছোট ভাই বকবে , বাবা জেনে যাবে । একবার শুধু শফিকের সাথে একান্তে দেখা হয়েছিল সহপাঠী বন্যার বাসায় । বন্যা ওদেরকে সুযোগ করে দিয়েছিলো কথা বলার । শফিক ঐদিন অস্থির হয়ে উঠেছিল, নয়নাকে চুমু দিয়ে পাগল করে দিয়েছিলো । নয়না তার পর থেকে আরো বেশি এড়িয়ে চলতো শফিককে ।
জানালা দিয়ে বৃষ্টি দেখতে দেখতে নয়না ভাবছে এখনতো ও পরিণত ? কিন্তু এখন সেসব অনুভূতি কি বেঁচে আছে মনের মধ্যে ? শফিক কি পানসে হয়ে গেছে ? বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে নয়না ঘরে ফিরে আসে, কতদিন শফিককে চিঠি লিখেছে কিন্তু সেগুলো টুকরো টুকরো করে ছিঁড়ে ফেলেছে । ভয় হ্যাঁ, ভয় নয়নাকে প্রেম থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছিলো। পুতুল সারা বাড়ি খেলনা ছড়িয়ে খেলছে , নয়নার হঠাৎ মেজাজ খারাপ হয়ে যায়, মেয়েকে বকাবকি করতে থাকে । গোসল করার পর শরীরটা একটু ভারী ভারী লাগে একটা প্যারাসিটামল খেয়ে নেয় । দুপুরের খাবার খেয়ে শুয়ে পড়ে , নয়নার ভয় লাগতে থাকে । বাজারে এতো লোকের ভিড়ে যাওয়াটা কি ঠিক হলো ? পুতুলকে বলে তুমি আমার সাথে থেকোনা , ড্রয়িং রুমে বিছানায় শুয়ে থাকো ।
কেন মা ?
আমার জ্বর জ্বর লাগছে । নয়না কাঁথা মুড়ো দিয়ে সারা সন্ধ্যা শুয়ে থাকে, রাতে গা কাঁপিয়ে জ্বর আসে । সজীব অফিস থেকে ফিরে দেখে নয়নার জ্বর , শুয়ে আছে । রাতে পুতুল আর সজীব ড্রয়িং রুমে ঘুমায় । সজীব বলে ভয় পেয়োনা বৃষ্টিতে ভিজে হয়তো তোমার জ্বর এসেছে ।
নয়না বলে তুমি এক কাজ করো পুতুলকে আপার বাসায় দিয়ে আসো ।
সজীব বলে আরে না তা কেন ? আমি দুদিন ছুটি নেবো , তোমার শরীর ভালো হোক তারপর অফিস যাবো ।
কয়েকটা দিন কিভাবে কেটে গেলো নয়না পারে না, জ্বর আসে যায়, মুখের স্বাদ চলে গেলো, কোনো গন্ধ টের পাচ্ছে না। সজীব নয়নাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে করোনা পরীক্ষা করতে দেয় , তিনজনেরই করোনা সনাক্ত হয়। সজীব কিছুটা ঘাবড়ে যায় , বাড়িওয়ালা ফোন করে বলেন আপনারা কেউ ঘর থেকে বের হবেন না। আমার বাসায় আরো ভাড়াটিয়া আছে, সবার কথা চিন্তা করতে হবে। সান্ত্বনা ড্রাইভারকে দিয়ে বোনের বাসায় বাজার করে পাঠায়। ফ্যাক্টরি থেকে সজীবকে বারবার ফোন করা হয় কাজে যোগ দেয়ার জন্য । সজীব অফিসে করোনার কথা বলেনি , নয়নার অপারেশন হবে বলেছে ।
সুস্থ হওয়ার পর সজীব ফ্যাক্টরিতে গিয়ে শোনে অনেকের চাকরি চলে গেছে। কয়েকটা দিন খুব ভয়ের মধ্যে থাকে। একদিন ম্যানেজার সজীবকে ডেকে বলে আমাদের প্রোডাকশন খুব কম হচ্ছে, চলছে না , এই পরিস্থিতিতে সজীবসহ কয়েকজনকে কাজ হতে সাময়িক অব্যাহতি দিতে বাধ্য হচ্ছে। সজীবের মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ে। শরীর এমনিতেই দুর্বল হয়ে আছে তার উপরে এই খবরে একদম ভেঙে পড়ে। বাসায় ফিরে নয়নাকে কিছু বলে না। কয়েকদিন অফিসে না গেলে নয়না বলে তুমিতো এখন সুস্থ অফিসে যাচ্ছ না কেন ?
সজীব কোনো উত্তর না দিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। সারাদিন পরিচিত নানা অফিসে কাজের জন্য ঘুরে বেড়ায় কিন্তু সবাই বলে এ সময় কোথাও নিয়োগ দেয়া হচ্ছে না।
মনমরা হয়ে সজীব ঘরে বসে থাকে । নয়না বলে দু - এক মাসের বাসা ভাড়া না হলে দিতে পারবে কিন্তু তারপর কি হবে ? সজীব বলে তুমি চিন্তা করো না কিছু একটা ব্যবস্থা হয়ে যাবে । দু মাস ওরা কোনোমতে চলে কিন্তু আর পারে না । নয়না একদিন শফিককে ফোন করে ।
শফিক বলে তুমি বাসায় আসো।
বাসায় গিয়ে নয়না দেখে শফিকের স্ত্রী বাসায় নাই বাবার বাড়ি গেছে ।
নয়নার শুকিয়ে যাওয়া চেহারা দেখে শফিক চমকে ওঠে ।
চা খাবে ?
নয়না ঘাড় নারে ।
শফিক চা বানিয়ে নিয়ে আসে ।
পাশে বসে জানতে চায় কেমন চলছে সংসার ?
নয়না বলে চলছে একরকম । তোমার বৌ কবে আসবে ?
ওরাতো এখন কুমিল্লাতে থাকছে , করোনা শুরু হওয়ার পর থেকেই ওখানে আছে ।
নয়না কিছুটা আড়ষ্ট হয়ে ওঠে , এতদিন পর শফিকের সামনে বসে থাকতে থাকতে কয়েক মুহূর্তকে দীর্ঘ মনে হয় । শফিক নয়নার পাশে বসে ওর হাতটা ধরে বলে তুমি কেমন বদলে গেছো, মনে হয় না তোমাকে কোনো দিন চিনতাম ।
আমাকে কতটুকু চিনতে ?
যতটুকু তুমি চিনতে দিয়েছিলে বলে শফিক হঠাৎ নয়নাকে জড়িয়ে ধরে ওর ঠোঁটে চুমু খেতে থাকে ।
নয়না চমকে ওঠে , নিজেকে ছাড়িয়ে নিতে চেষ্টা করে। মুহূর্তে নয়নার সারা শরীরে একটা বিদ্যুৎ খেলে যায় ।
শফিক নয়নাকে ছেড়ে উঠে একটা সিগারেট ধরায়।
নয়না বলে আমি তোমার কাছে একটা কাজে এসেছিলাম ।
বলো।
কয়েকদিন আগে আমার হাসব্যান্ড সজীবের চাকরি চলে গেছে , কিছু টাকা ধার করতে এসেছিলাম ।
কত টাকা ?
দশের মতো ।
শফিক বলে আমার কাছে সাত আছে এটা নিয়ে যাও, আর কোনো দরকার হলে বলো ।
নয়না চলে যেতে উদ্যত হলে শফিক বলে তোমাকে এতো শুকনা লাগছে কেন ? কদিনেই অনেক শুকিয়ে গেছো ।
নয়না বলে আমাদের সবার করোনা হয়েছিল ।
শুনে শফিক ভূত দেখার মতো চমকে ওঠে , একবার নিজের ঠোঁট স্পর্শ করে ।
ভালো হয়েছো কবে ?
এই কিছুদিন ।
শফিক মুহূর্তে অস্থির হয়ে ওঠে , নয়নার উপস্থিতি ওর কাছে অসহনীয় লাগে ।
নয়না দরজা খুলে বেরিয়ে আসে।
টাকাটা নিয়ে নয়না বাসায় আসে , আরো কিছুদিন ধার -কর্জ করে চলে। কিন্তু একটা পর্যায়ে আর সম্ভব হয় না। সান্ত্বনাও বোনকে বলে এভাবে আর কতদিন চলবে তোদের ? সজীবকে বল কিছু একটা করতে।
ওতো চেষ্টা করছে, পাচ্ছে না , আমিও খুঁজছি , কিন্তু আপা কে এই মহামারীতে চাকরি দেবে ? এখন কোথাও কিছু পাওয়া যাবে না ।
সকাল থেকে বৃষ্টি ঝরছে , নয়না বারান্দায় দাঁড়িয়ে বৃষ্টি দেখছে , আজ ওরা ঢাকা ছেড়ে সজীবদের গ্রামের বাড়িতে চলে যাচ্ছে । সজীব একটা মেসে থেকে কাজের চেষ্টা করবে। পুতুল বারান্দায় এসে দাঁড়ায় ।
মা আমরা আবার কবে বাসায় আসবো ?
নয়না কোনো উত্তর দেয় না । বৃষ্টির পানি এসে নয়নার চোখের জলের সাথে মিলে -মিশে একাকার হয়ে যায় । রাস্তার দিকে তাকিয়ে দেখে একটা ঠেলা গাড়িতে মালপত্র বোঝাই করে কেউ বাড়ি বদল করছে । নয়না ঘরে এসে সব গুছাতে শুরু করে ।পুতুল খালার দেয়া সাইকেল চালিয়ে সারা ঘরে ঘুরতে থাকে আর ভাবে আমরা কি আরেকটা নতুন বাড়িতে যাচ্ছি ? বাড়ি বদল।