অমিতাভ প্রহরাজ
অমিতাভ প্রহরাজ
লেখক / সংকলক : iPatrika Crawler
বাসাবাসি
পুরোনো কন্ঠস্বর দু একজন, চোখে খুব কায়ক্লেশে থাকে।
চোখের অপটু বলে পরিচিত কিছু আলগা নজর আসলে তাদেরই বাড়িঘর
থাকা ছাড়া প্রভাব কিছুই নেই, আলোদের খুটুর খুটুর
করার জিনিস, কালেভদ্রে নড়চড় পায়
তাদের গলায় ফিসফিস শুনে দেখো
নিখাদ খানদান, তেহাই মুচড়ে দেওয়া আলাপ
তাকালে, যেকোন তাকালে যে ফুটফুটে বোধ হয় চোখে
সেসব ওদের চাল, পলক পড়লে
ওড়ায় যে যার নিজের মায়াবিনী, চোখ শোনো
ভালো করে চোখ শুনে দেখো
আলোর গলাটি খুব নহবতে পটু...
উন্নিসা
অল্প সময় আগে আমি এক নতুন জটিল কঠিন শিখেছি
পাশের বাঙালি থেকে কিছুটা বিজয় চাওয়া যেতে পারে
এখন মাসের শুরুতে আমাদের আন্দোলন এখনো হয় নাই
আমাদের পাতিলেবু দিয়ে আন্দোলনের জলপানি পায় নাই
সুছাত্রীটি,
রোদ আর ঘাম দিয়ে মোড়া ওগো সুছাত্রীটি,
তীক্ষ্ণ নামাজে গাঁথা তার উপুড় করুণা প্রায়
ঈশ্বরের মতো ভারী…
উঠেছি তৎক্ষণাৎ
দেখেছি ওপরে চাঁদ কঠিন, কঠিন!!
আহা, তার থেকে আমাদের নরম নয়নমণি অবধি নিয়মিত
পাতাল আলো চলে
যন্ত্রভ্রমর জাতীয় অসহ্য নাম রেখেছি রাতের, এতেও বোঝোনা
একবিন্দু বালিকার মতো অজানা ক্ষমার অভ্যেস…
তার মাঝে তোমাকে দেখে শ্যামাসঙ্গীত মনে হয়,
আর আমি একটি নিরাকার ভলিউম হয়ে কাছে যাই...
না মানে
আনন্দের মতো ঔজ্জ্বল্য একটি গর্দভ
তা নিয়ে দুশ্চিন্তা করে বাবা বাঁচবেনা বাছাও বাঁচবেনা
যা থাকবে কবর, কবরে ফোটানো কলা
কবর কবিতা তোমার আমার কলা
শুধু যে কে কবকলা জানে অক্ষরে অক্ষরে
তার বাঁচি হবো আমি...
অথবা সামান্য হাঁচির মতো অশ্রুতপূর্ব মহারাজা
কাব্যগদ্দার ও ভোরের কামিনা-
ধরা যাক জলের ডলি হলো জলবসন্ত
আমার টগর হলো আমার বুজুম
আকণ্ঠ রুট খেয়ে শ্রীমান টাল্লি
টগরের সাথে অতিঘনিষ্ঠ টগরের ঘাম...
...তাই ফের ধরা যাক জলের মহীতোষ আর কেউ নেই, জলে কল্যাণী বলে কেউ নেই
শুধু চূড়ান্ত জলটিতে তোমার মৌরী জোয়ান পোষা, ছড়ানো এলাচের গুঁড়ো, কস্তূরী কুচিকুচি
ও এক গলে যাওয়া গন্ধর্ব তোমার শরীরে, শিশির ঘুরছে
ওহে এনিওয়ান।।
এরকম হোমিওপ্যাথিক দিনে
আকণ্ঠ রেনকোট খেয়ে
একটি বয়স আমার কাছে আসে
একা একা, অর্ধেক ভদ্রতা নিয়ে
বাকি অর্ধেক নাকি অপর তরুণেরা
চেয়েছে স্নানের জন্য
তাদের কপালে নাকি ব্যাকুল খোলা ছিল
মনোমালিন্য ভোরে ধর্ষণ করছে...
তাঁর নাক্সভুমিকায় ঘরের কথা থাকবে?
সে কি পতাকার মতো কাঁদবে?
শোনো এনিওয়ান
টগর তোমার তবিয়তে জায়গাফুল জায়গাফল থাক
আমরা তো আর আভাস নই যথেষ্ট দেওয়ার মতো, এই সন্ধ্যায়
যখন অমর পাঁঠার মতো দাঁড়িয়ে আছে গঙ্গা...
Review Comments
সোসাল মিডিয়া কামেন্টস